ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলায় ১৯৭১ সালের এই দিনে বর্তমান হারুন পার্কে বিশাল জনসভায় পাকিস্তানের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া। তিনি ১৯৪৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ঢাকায় প্রথম সাক্ষাৎ করেন। অতঃপর ১৯৫০ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ গৌরীপুর থানা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্বভার গ্রহণ করে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং এবং পরবর্তীতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ।
তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ করে পাক সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়ে গ্রেপ্তার হন এবং দীর্ঘ ৯ মাস কারাবরণ করেন। তিনি গৌরীপুর আর কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও রামগোপালপুর পি, জে,কে উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাত্রসহ বিভিন্ন এলাকার ছাত্রদের সাথে মিছিল মিটিং করে সংঘবদ্ধ করতেন। ২১ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে গিয়ে গৌরীপুর বাজার ময়দানে ইট সাজিয়ে তাতে লালসালু কাপড়ে ঢেকে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছিলেন। সে আন্দোলনকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ হামলা চালিয়ে শহিদ মিনার ভেঙ্গে দেয়।
এর পর ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে এ,কে ফজলুল হকের টিকাটুলিস্থ বাসায় আলোচনায় যোগদানের সুযোগ পান। ১৯৫৪ সালে আবারো জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হোন তিনি । ১৯৫৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার কারণে তিনি পথসভায় আবারও গ্রেফতার হন । ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি (এম সিএ ) নির্বাচিত হন । উনার পরিবার তথা গৌরীপুরবাসীর দাবি বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যাক্তি হাতেম আলী মিয়ার নাম বাংলাদেশের মানুষ যেন সারাজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সরকারিভাবে তার যেন একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।