ছেলের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের জেরে ছেলের মাকে আটকে রাখে স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। অনেক অনুনয় – বিনয় করেও ছাড়া পাননি ছেলের মা। অবশেষে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশের হস্তক্ষেপে মুক্ত মিলে মায়ের।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর পূর্বে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র শহীদুল ইসলাম (২৭) ও গৌরীপুর উপজেলার তেরশিরা গ্রামের আলকাস মিয়ার কন্যা নীলুফার (২৩) বিয়ে হয়। গত এক বছর যাবত দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমঝোতার আশায় স্বামী শহীদুলের মা রহীমা খাতুন (৫৫) বড় জা রেনুয়ারা (৬০) কে সাথে নিয়ে গত মঙ্গলবার ছেলের শ্বশুরবাড়ি যান । ছেলের শ্বশুর পরিবারের লোকজন ছেলের মাকে আটকে রেখে জামাই শহীদুলকে বাড়িতে এনে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর রাখার পরিকল্পনা করে। বাড়ির লোকজন নজরবন্দি করে রাখে ছেলের মা ও চাচিকে। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে ছেলের চাচি সুকৌশলে পালিয়ে এসে ঘটনাটি শহীদুলকে জানায়। শহীদুল আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে অনেক চেষ্টা করেও তার মাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল করলে গৌরীপুর থানার এএসআই ইনচান ও কনস্টেবল ছামিউল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরুদ্ধ রহিমাকে উদ্ধার করে শহীদুলের কাছে ফিরিয়ে দেন।
শহীদুলের মা রহিমা জানান, অল্প সময়ের ব্যবধানে পুলিশের হস্তক্ষেপে আমি মুক্ত হয়েছি। ধন্যবাদ জরুরী সেবা ৯৯৯।