“সঠিক তথ্য যাচাই না করে ডাকাত, খুনের মামলার আসামি হিসাবে আমার নিহত ছেলের নামে বদনাম করা হয়েছে। তা কাম্য নয়। খুনের মামলাগুলো ছিল মিথ্যা হয়রানীমুলক, যা কোর্টে প্রমানিত হয়েছে। আমি আমার ছেলের হত্যার সঠিক তদন্তে এসপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করি, সেই সাথে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী করছি।” কান্নাজরিত কন্ঠে কথাগুলো বলছিল নিহত আজিজুল ইসলামের পিতা মো. আব্দুল কাদির।
তার ছেলে সম্পর্কে সাংবাদিকদেরকে , আব্দুল কাদির আরো জানান তার ছেলে আজিজুল বাড়ীতে গরুর খামার, কৃষি কাজ ও ব্যবস্যা করতো। শ্যামগঞ্জ ঝারিয়া মোড়ে তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আছে । সে যদি খারাপ হতো তাহলে তার জানাজায় দুই-তিন হাজার লোক হতো না। উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় লোকজন সকালে মইলাকান্দা ইউনিয়নের উত্তর লামাপাড়া ব্রিজের নিচে লাশ ভেসে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। গৌরীপুর উপজেলার উত্তর লামাপাড়া ব্রীজের নিচ থেকে পুলিশ অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ আজিজুল ইসলাম পূর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের নিবাসী আব্দুল কাদিরের ছেলে।
গৌরীপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান- লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের শেষে ঐ দিন রাতে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের করা হয়। পরে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানায় নিহতের পিতা আব্দুল কাদির বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নং-৩৬১৫(৩)/১ তারিখ ২২-৮-২২। নিহত আজিজুল ইসলাম প্রসঙ্গে মহিষবেড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হেকিম বলেন, “আজিজুল খুব ভাল ছেলে ও জনদরদী ছিলেন। আমার জানামতে সে কোন খারাপ কাজের সাথে জড়িত ছিল না।” পূর্বধলা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের অন্যতম নেতা মোজাম্মেল হক জানান,”আজিজুল পরোপকারী, সমাজসেবক, ও ন্যায়বিচারের পক্ষে থাকতেন । মানুষের বিপদে আপদে ঝাপিয়ে পড়তেন। সঠিক ভাবে দেন দরবারে করতেন। স্বার্থান্বেষিরা পথের কাঁটা সরানো জন্য এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত, দোষিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হউক”
“কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত আজিজুলের স্ত্রী মারুফা আক্তার। তাঁকে ঘিরে এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন। সকলের চোখেই জল। তিনি বলেন স্বার্থান্বেষী ও কিছু কুচক্রীমহল তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করতো। এমনকি তার জন্মের ৮/৯ বছরের আগের ঘটনায়ও তাকে আসামী করা হয়েছিল। তাকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে খুন করা হয়েছে।” এখন আমাদের একটাই দাবি, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ড প্রদান করা হোক।