শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
১৭ ফেব্রুয়ারী সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে নেত্রকোনায় জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরগঞ্জের ইতিবৃত্ত ও অজানা কিছু ইতিহাস ( পর্ব-৩) নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় শিল্প বিপ্লব নিয়ে দুই শতাধিক তরুণের অংশ গ্রহণে ভাবনা উৎসব নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় ‘স্মরণে মননে হেলাল হাফিজ’ সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত আটপাড়ায় অনিয়মের অভিযোগ দেখিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষককে বরখাস্ত নেত্রকোণা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে বাস সার্ভিস চালু মদন চাঁনগাও ইউনিয়নে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস লক্ষীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পরুষ্কার বিতরনী ২০২৫ অনুষ্ঠিত আটপাড়ায় সরকারি জায়গা দখল, অভিযোগ এলাকাবাসীর।

আটপাড়ায় সাইনবোর্ড বিহীন প্রতিষ্ঠান

মোঃ জহিরুল ইসলাম খান হীরা, আটপাড়া
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলায় সাইনবোর্ড বিহীন প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থানের নাম করে সহজ সরল মহিলাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বানিয়াজান ইউনিয়নের আটপাড়া ব্রুজের বাজার সংলগ্ন লেংটার মাজারের সামনে আবুল খায়েরের বাসায় সাইন বোর্ড বিহীন প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতারণার মূল হুতা জহির গাজীপুর চৌরাস্তায় তার বাড়ি এবং আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নে নাজিরগঞ্জ গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ির সুবাদে আটপাড়া উপজেলার বিভিন্ন লোকের সাথে তার পরিচয় হয়। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে আটপাড়া ডিগ্রী কলেজের ডেমোনেস্টেটর মোখলেছুর রহমান ও ইটাখলা গ্রামের আবুল কাশেম। ভূক্তভোগী কিছু মহিলাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গত তিন মাস যাবৎ
চায়না টুপি নামক প্রতিষ্ঠান কাজের জন্য প্রতি ফরম ৩শ টাকা করে প্রতি গ্রাহকের নিকট থেকে নেয়। যারা ফরম সংগ্রহ করেছেন তাদের প্রত্যেককে একটি করে টুপি বানানোর সরঞ্জাম দেয়। তখন একটা টুপি করার পর আর কোন টুপি দেয়নি প্রতারক চক্রটি। পরবর্তীতে প্রতারক চক্রটি সেলাই মেশিন দেয়ার কথা বলে ১ম পর্যায় ৪ হাজার টাকা করে দিতে হবে এবং বাকী টাকা সেলাই মেশিন দিয়ে টাকা উপার্জন করে দিতে হবে। তবে তারা দুই তিন দিন হয় চার হাজার টাকার মধ্যে ১২ জন গ্রাহকের নিকট থেকে ১৫০০-৩০০০ টাকা দেয়, বাকি টাকা মেশিন দেওয়ার সময় দিতে হবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নাম জিজ্ঞেস করলে তারা বলতে পারেনি। তাহলে কিভাবে তারা টাকা নিচ্ছে সেই প্রশ্নের জবাবে বলে ওই লোককে না চিনলেও মোখলেছুর রহমানকে চিনি ও সে বলেছে তার কথার উপর বিশ্বাস করেই টাকা দিয়েছি।

এদিকে আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুওজ ইউনিয়নের এক ব্যক্তিকে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৮০ হাজার টাকা নেয় এই চক্রটি। কিন্তু পরবর্তীতে চাকরি দেয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ডে। তথ্যটি নিশ্চিত করছে ভূক্তভোগী। এদিকে সাইনবোর্ড বিহীন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মালিক জহির কে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান। গ্রামের অসহায় সহজ সরল মহিলাদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্রটি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভূক্তভোগীসহ এলাকার সচেতন মহল।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শাকিল আহমেদ এর কথা বললে তিন জানান, সংবাদ পেয়ে ঐ সময় ওসি কে বলে দেওয়া হয়েছে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তবে স্থানীয় মোখলেছুর রহমান নামে ব্যক্তিকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের ভাড়া নেওয়া অফিস বন্ধ করা হয়েছে। প্রতারণার সত্যতা পেলে জহির নামক লোককে আইনের আওতায় আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin