(বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর রহমান ভূঁইয়া)
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের বিধবা স্ত্রী ও পোশাক শ্রমিক দুই মেয়ের বসতঘরের আঙিনায় লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত রূপচান মিয়ার দুই ছেলে সবুজ এবং বাবু জোরপূর্বক কেটে নিয়েছে।
গাছ কাটা বাধা দিতে গিয়ে বিধবা আঙ্গুরা আক্তার (৬০)ও তার দুই মেয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন ওই বৃদ্ধা বিধবা নারীকে তার স্বামীর ভিটা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।এ ঘটনা ঘটেছে হাতিয়া গ্রাম।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী বিধবার আঙ্গুরা আক্তার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টা জানান, পরে বিষয়টা সমাধানের লক্ষ্যে দফায় দফায় দরবার শালিসও হয়েছে।
বিধবা নারী ও তার দুই মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে যে কোন সময় তাদেরকে মেরে ফেলতে পারে।
এনিয়ে মা ও দুই মেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন
সরেজমিনে গেলে স্থানীয় প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম, মামুন, সুমন মিয়া, মাসুদ, প্রমুখ জানান, বিধবা আঙ্গুরা আক্তার ও তার পোষাক শ্রমিক দুই মেয়েকে নিয়ে আব্দুল মালেক মৃত্যুর পর ১০ বছর ধরে বসবাস করছেন।
হঠাৎ করে বাড়ির আঙিনার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ গুলো কেটে নিয়েছে।এভাবে কারও ঘরের সামনের গাছপালা জোরপূর্বক কেটে নেওয়া ঠিক হয়নি।
বিধবা আঙ্গুরা আক্তার জানান, আমার স্বামী আব্দুল মালেক মৃত্যুর আগে আমার কোন ছেলে সন্তান না থাকার কারণে আমার দুই মেয়েকে ২০ শতাংশ জমি দলিল করে দিয়ে গেছেন।
এবং ৫০ শতাংশ জমি ধান আবাদ করে সংসার চলত ওই জমিটা জোরপূর্বক তারা দখলে নিয়েছে এবং আমাদেরকে আবাদ করতে ও দিচ্ছে না। স্বামীর ভিটেতে রয়েছে সাড়ে সাত শতাংশ
জমি এখানে থাকতে দিচ্ছে না।
বাড়িতে অনেক গাছ লাগানো ছিল এই গাছগুলো জোরপূর্ব কেটে নিচ্ছে মৃত রূপচার মিয়ার জেলে সবুজ ও তার ছোট ভাই বাবু। গাছ কাটতে বাধা দিলে বিধবা বৃদ্ধা নারী ও তার দুই মেয়েকে শ্রীলতাহানি করে। অভিযুক্ত সবুজ মিয়া বলেন, আমি গাছ কেটেছি সত্যি আমি তাদেরকে টাকা দিয়ে দিব। বিষয়টা গ্রামের লোকজন দরবার করে শেষ করবে বলেছে।
আটপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ঘটনাটি জেনেছি, তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।