মানবসেবার ব্রত নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মানবসেবাই হয়ে যায় ধ্যানজ্ঞান। এই মহামারীতে খারনৈ ইউনিয়নবাসীকে করোনামুক্ত রাখাকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক।
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক করোনা বিস্তার রোধে নানা উদ্যাগ গ্রহন করেছেন। নিয়মিত সচেতনতার পাশাপাশি খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রীও বিতরণ করে চলেছেন তিনি।
প্রতিদিনের মতো আজ মঙ্গলবার ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টায় বাউশাম বাজারে সচেতনতামূলক প্রচারণা শেষে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করতে দেখা যায় চেয়ারম্যান ওবায়দুল হককে।
মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবানসহ নানা সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেন সাধারণ মানুষজনদের হাতে। এ তালিকায় পূর্ন বয়স্ক নারী-পুরুষ ছাড়া অনেক শিশুরাও ছিলো।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির এমন উদ্যোগে ইউনিয়নবাসীও সন্তোষ প্রকাশ করে। এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার দাবিও করেন কেউ কেউ।
এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে একান্তে কথা বলার সময় ওবায়দুল হক জানান, যেহেতু এই মূহুর্তে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিম্নগামী। সেক্ষেত্রে যদি মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে পরবর্তীতে করোনা প্রকৌপ থেকে ইউনিয়নবাসী কে মুক্ত রাখা সম্ভব। সেই সাথে জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছে। তাই তাদের সুরক্ষিত রাখাই আমার গুরুদায়িত্ব বলে মনে করছি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, ইউপি সদস্য হযরত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী প্রমুখ।