কেন্দুয়া উপজেলার ৯ নং নওপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ওই গ্রামের ৩ সন্তানের এক মা ধর্ষন চেষ্টার মামলা করেছেন। গত ২৪ মার্চ তিনি নিজেই বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করে বলেন, ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম ২৩ মার্চ রাতে সঙ্গিদেরকে নিয়ে তার বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষন চেষ্টা চালায়। তার ডাক চিৎকারে লোকজন এসে জড়ো হলে আমিনুল সহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন গেলে ওই নারী ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বিচার দাবী করেন তিনি।
এদিকে গ্রামবাসি অনেকেই বলছেন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে ৮ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী ওই নারীর সম্পর্কে চাচতো ভাই সেলিম মিয়ার পরিকল্পনায় বিজয়ী মেম্বার আমিনুল ইসলাম সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দায়ের করে হয়রানি করে আসছেন।
বুধবার কোনাপাড়া গ্রামের ১৪৩ জন স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে ওই মামলাটিকে সাজানো দাবী করে সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার বরাবর জমা দেন। একই আবেদন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার কেন্দুয়া সার্কেল, অফিসার ইনচার্জ কেন্দুয়া থানা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে অনুলিপি জমাদেন। মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এক পক্ষ বলছে সাজানো অপর পক্ষ বলছে ঘটনাটি সত্য। এ মামলা নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে গ্রামের অধিকাংশ লোকজন ওই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, মামলাটি তদন্তাধিন আছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে চার্জশিট হবে, আর যদি সত্যতা না পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে চূড়ান্ত রিপোর্ট (ফাইনাল) দেয়া হবে।