নেত্রকোনার মদনে হারিকেন ও তুষ পদ্ধতির মাধ্যমে হাঁসের বাচ্চা ফোটানো ১৫০ জন উদ্যোক্তাদের মাঝে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক খামারীদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচয় পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
খামারিদের পরিচয় পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালিয়াজুরী সার্কেল মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, সদ্যপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তিয়শ্রী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন তালুকদার, মদন উপজেলা শাখার বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিক তানভীর আহমেদ সাংবাদিক মনির হোসেন সাংবাদিক ইমরান সহ অন্যান্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রোজ বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা তিয়শ্রী ইউনিয়নের কুঠুরীকোনা গ্রামের তুষ হারিকেন পদ্ধতির মাধ্যমে হাঁসের বাচ্চা ফুটানো প্রধান উদ্যোক্তা ইয়াসিন মিয়ার বাড়িতে তুষ হারিকেন পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা ফোটানোর খামারিদের জীবন মান উন্নয়নে লক্ষ্যে প্রতিটি খামারির মাঝে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যেককে একটি করে পরিচয় পত্র তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এক নারী উদ্যোক্তা বলেন, আমাদের আর্থিক অস্বচ্ছল এবং দুর্বল থাকার কারণে খাঁমারি বড় করতে পারতাছি না বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আমাদেরকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করলে আমাদের খামারির মান উন্নয়ন করা যাবে।
এ বিষয়ে প্রধান উদ্যোক্তা ইয়াসিন মিয়া জানান, তুষ ও হারিকেন পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটিয়ে একটি শিল্প এলাকা হিসেবে করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি কোঠুরিকোনা গ্রাম।
আমার এই পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সকল জায়গায় এখন পরিচিত। বাংলাদেশের বাহিরে ও ভারতের মেঘালয় পর্যন্ত আমার হাঁসের বাচ্চা আমদানি রপ্তানি হচ্ছে।
একজন সফল শিল্প উদ্যোক্তা হিসাবে সরকার কর্তৃক তাকে পুরস্কৃত করা এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ দিয়ে একাজের সহযোগিতা করা প্রয়োজন মনে করেন অনেকেই।
এতে করে নারীরা তাদের অবসর সময় কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, এতে যুব সমাজ বেকার না থেকে, পরিবারের আর্থিক সহায়তার একটি পথ খুঁজে পাওয়ার অবলম্বন হয়েছ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মোঃ শাহ আলম মিয়া তিনি বলেন, কুঠুরীকোনা গ্রামের তুষ হারিকেন পদ্ধতির খামারীদেরকে সার্থক খামারী হিসেবে গড়ে তোলা এ লক্ষ্যে আমি ৬ মাস ধরে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত কিছুদিন পূর্বে মদন উপজেলার সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি আলোচনা করেছি। তাদেরকে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিয়ে তাদের সার্থক খামারি শিল্প হিসাবে গড়ে তোলা যায়। এই চিন্তা মাথায় রেখে তাদেরকে প্রথমে আমি পরিচয় পত্র করে দিয়েছি।
প্রতিটি খামারীদের পরিচয় পত্র রয়েছে এখন তারা প্রতিটি ব্যাংক থেকে ঋণ সহায়তা পাবে এবং তাদের জীবন মান উন্নয়নের হবে বলে আশা করেন তিনি।