কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার চাঞ্চল্যকর ওয়াসিম হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি
মোঃ রাজিব খান(৩২) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব -১৪, সিপিসি -২, ভৈরব ক্যাম্প।
”বাংলাদেশ আমার অহংকার”এই স্লোগানকে সামনে রেখে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ ও হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
ভিকটিম মৃত ওয়াসিম, পিতা- ইসহাক মিয়া, বাজিতপুর জেলার কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর থানাধীন পিরিজপুর বাজারে কাঁচা সবজির ব্যবসা করতেন। তিনি ব্যবসার কাজে প্রায় দুই এক দিন বাড়ির বাইরে থাকতেন। গত ২৫/১/২০২৪ তারিখ বিকালে তাহার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল আসলে তিনি বিকাল আনুমান ১৬.১৫ ঘটিকার সময় বসতঘর হইতে বাহিরে যান।পরবর্তীতে তিনি আর বাসায় ফেরত আসেন নাই।পরবর্তীতে ২৯/১/২০২৪ তারিখ বেলা আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকার সময় বাজিতপুর থানাধীন ধুপি পাথর পুরান খাল গ্রামের মধ্যবর্তী দুলদুলিয়া নামক চলমান খালের পানিতে মৃত ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।তার মরদেহ বাজিতপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী জুবেদা আক্তার (৩০) বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা দায়ের করেন।বর্ণিত বিষয়টি লোকমুখে প্রচারিত হলে উক্ত এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অজ্ঞাতনামা হত্যা মামলা হওয়ার পর সন্দেহভাজন অনেকেই এলাকা ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। উক্ত সন্দেহভাজন আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত মামলার সন্দেহভাজন আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন একজন মূল আসামির অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব ১৪ সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প।পরবর্তীতে গতকাল রাত আনুমানিক ২১.০০ ঘটিকায় র্যাব-১, সিপিএসসি এবং র্যাব ১৪ সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প এর যৌথ অভিযানে ঢাকার গাজীপুর এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করে আলোচিত অজ্ঞাত হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি মোঃ রাজিব খান(৩২)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধৃত আসামী বহুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেরাচ্ছিল। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা নজরদারীর ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনায় বাকি আসামিদের বিরুদ্ধেও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মামলার তদন্তকারী ইউনিট পিবিআই এর নিকট হস্তান্তর প্রক্রিয়াধিন। প্রাথমিক ভাবে উক্ত আসামী উল্লিখিত হত্যার বিষয়ে র্যাবের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত মামলার অপর আসামী ১। মোঃ আফজাল খান(৩৪), পিতা-মোঃ আমির উদ্দিন, সাং-ধোবিপাথর, থানা-বাজিতপুর, জেলা-কিশোরগঞ্জ কে গত ২৪/০২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত ২৩.৩০ ঘটিকার সময় বাজিতপুর থানাধীন ধোবিপাথর নামক স্থান হতে গ্রেফতার করে মামলার তদন্তকারী ইউনিট পিবিআই এর নিকট হস্তান্তর করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প।