নেত্রকোনার জেলার কেন্দুয়া উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌছেছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে অতি দ্রুত এ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা হতে যাচ্ছে।
দেশে একজন মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবে না-প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কেন্দুয়া উপজেলায় গৃহহীন মানুষ পেয়েছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, হয়েছে স্থায়ী ঠিকানা। জীবন মানে এসেছে পরিবর্তন। দুই শতক জমির ওপর ঘর তার পাশে খালি জায়গায় করেছে সবজি চাষ। পূরণ হচ্ছে পুষ্টির চাহিদা।
কষ্টের দিনগুলোর কথা ভুলে গিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আসা পরিবারগুলো।
৫ মার্চ রবিবার বিকালে কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করেছেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল সেতু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম সুমী,সহকারী কমিশনার ভূমি রাজিব হোসেন,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান,পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইসলাম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী জালাল সেতু জানান, প্রধানমন্ত্রীর আয়শ্রণ প্রকল্পের আওতায় কেন্দুয়া উপজেলায় মোট ৩২৩ টি পরিবারকে গৃহ ও দুই শতক জমিসহ দলিল দেওয়া হয়েছে। এখানে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি দুই কক্ষের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। নিবিড়ভাবে কাজগুলো শেষ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৫৬ টি,দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০ টি,তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০ টি, তৃতীয় পর্যায়ের চতুর্থ ধাপে ১৯৭ টি মিলে সর্বমোট ৩২৩ টি পরিবারকে ভূমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। তন্মধ্যে পাইকুড়া ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামে ৪৮ টি ঘর নির্মাণ করে ভূমিহীনদের প্রদান করা হয়েছে। ইউএনও কাবেরী জালাল সেতু আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সুধী সমাজ সবাই এ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সহায়তা করেছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন মানুষ যেকোনো সময় ভূমিহীন ও গৃহহীন হতে পারে। এ উপজেলায় এখনো খাস জমি রয়েছে যদি কোথায় গৃহহীন মানুষ পাওয়া যায় তাহলে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।