সাবেক রাষ্ট্রনায়ক বীর উত্তম শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও চেতনাকে ভালোবেসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে দলের দূর্দিনে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক(সাধারণ সম্পাদক পদ মর্যাদা) বর্তমানে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সততা আর সাহসিকতার সাথে রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক হিসেবে সাইফুল আলম ভূঞা ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছেন। সাইফুল আলম ভূঞাঁ কেন্দুয়া উপজেলার সুপরিচিত মুখ বিএনপির সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য বিএনপি নেতা উপজেলার চকবাট্টা গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঞার সন্তান এবং কেন্দুয়ার বিশিষ্ঠ রাজনীতিবীদ, সমাজসেবক কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পৌর বিএনপির নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি জয়নাল ভূঞার ভাতিজা। শৈশব থেকেই পারিবারিক পরিমন্ডলে বিএনপির রাজনীতির চেতনা থেকেই পরিবার পরিজনদের উৎসাহ অণুপ্রেরণায় ২০০৫ সাল থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন মিটিং মিছিলে অংশগ্রহণ শুরু করে সাইফুল আলম ভূঞা।
বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারিবারিক অভিভাবকগণ জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতি করার সুবাদে সাইফুল আলম ভূঞা ছাত্রদলের রাজনীতিতে অল্প সময়েই সকলের পরিচিত মুখ হয়ে উঠে। সাইফুল আলম ভূঞা আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরে কেন্দুয়া সরকারী কলেজ থেকে বি এস এস পাশ করেন।
ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে দলের দূর্দিনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে সাইফুল আলম। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ৪৪ টি মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে দীর্ঘদিন ফেরারী জীবন যাপন করেন। একই সময়ে সাইফুল আলমের পিতার বিরুদ্ধে ও ২৭ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়। এসব মামলার কারণে পিতা-পুত্র উভয়েই ৪ বার কারাবাস বরণ করতে হয়। এত সংখ্যক মামলা দিয়ে হয়রানী করার কারণে দীর্ঘদিন ফেরারী হয়ে ঘুরে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে পিতাপুত্রের। এমন কি দুইবার রিমান্ডে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেছে বলেও জানিয়েছে সাইফুল আলম ভূঞা। তার পিতা জসিম ভূঞাকেও রিমান্ডে এনে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে জানান সাইফুল আলম। বাসা ও এলাকা ছেড়ে ফেরারী জীবন যাপন করায় মানসিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে তাদের।
ছাত্রদলের রাজনীতি করায় দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ হামলা মামলা হয়রানীর শিকার হয়েও দলের দূর্দিনে এলাকার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহন করেছেন এ ছাত্র নেতা । বিপদে-আপদে জনগনের পাশে দাড়িয়েছেন। ইতোমধ্যে এলাকার একজন ক্লিন ইমেজের ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম ভূঞাঁ।
দল ক্ষমতায় না থাকার পরও মহামারী করোনার প্রথম থেকে নিরবে নিভৃতে গোপনে অসহায়-দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে সার্বিক সাহায্যে করেছেন সাইফুল আলম ।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম জানান,দীর্ঘ দিন অন্যায়,জুলুম সহ্য করেও ছাত্র রাজনৈতিক জীবনে অন্যায়ের কাছে আপোষ করেননি কখনও।
সাইফুল আলম আরও বলেন-স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক অত্যাচার, জুলুুম ও নির্যতনের শিকার এবং একাধিকবার কারা বরন করলেও রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত জীবনে এখন পর্যন্ত আদর্শচুত হইনি আর হবো না। এই ছাত্রদল নেতা আরও বলেন বিএনপি পরিবারে জন্ম গ্রহন করায় পরিবারের সূত্র ধরে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। বিপদে জনগনের পাশে দাড়িয়ে সাধারন মানুষের মন জয় করার পাশাপাশি দলের রাজনীতিতেও সফলতার ছাপ রাখার চেষ্টা করে চলেছি।
কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের নিবেদিত প্রান আহবায়ক সাইফুল আলম -উপজেলার সকল ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের প্রতি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক এবং বর্তমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের প্রতিটি নির্দেশ পালনের মাধ্যমে ছাত্রদল কে সুসংগঠিত হয়ে আগামীর পথে এগিয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। সাইফুল আলম ভূঞা আরও বলেন-আগামীদিনে ছাত্রদলের ত্যাগী -স্বচ্ছ কর্মীদের আমার পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করে ছাত্রদল কে আরো শক্তিশালী করার মূখ্য ভুমিকা পালন করবো।
ছাত্রদলের,আহবায়ক সাইফুল আলম ভূঞাঁ আরও বলেন- এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, দখলবাজীসহ সকল অপরাধ নির্মুল করার লক্ষ্যে তৃনমূল ছাত্রদল নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে নির:লস ভাবে কাজ করে যেতে চাই। এজন্য বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ ও সকল ছাত্র জনতার সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।
এছাড়াও কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম বলেন, আমি দল থেকে কিছু পাওয়ার লোভে রাজনীতি করিনা। আমি রাষ্ট্রনায়ক বীর উত্তম শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শকে ভালেবেসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কর্মী হিসেবে রাজনীতি করছি। আমি দলকে যেমন ভালোবাসি তেমনি তৃনমূল ছাত্রদলের নেতা কর্মীদেরও ভালবাসি। বর্তমানে চলমান রাজনীতিতে সুশৃংখল ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছি। ছাত্রদলের নীতি আদর্শ মানবতা বজায় রেখে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আগামীদিনে কেন্দুয়া উপজেলার সকলের ভালবাসা নিয়েই মানুষের কল্যাণে কাজ করে সামনের এগিয়ে যেতে চাই।