নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের শাহীন মিয়ার ছেলে অটোচালক এলমান হুসেন বাবু’র হত্যকারীকে গ্রেপ্তারের দাবীতে শুক্রবার মানববন্ধন করে এলাকাবাসী এর পরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দুয়া থানার পুলিশ। পরে শনিবার ১৪ আগস্ট সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে বাদল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কেন্দুয়া থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার বাদল মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার বাদল মিয়া, এলমান হুসেন বাবু মিয়ার হত্যা মামলাম এজহার নামীয় আসামি। এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বাদল মিয়াকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য ঃ ঈদুল আজহার পরদিন ২২ জুলাই দুপুরের দিকে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের সাহিতপুর বাজার মোড়ে নিহত এলমান হোসেন বাবু’র সাথে একই ইউনিয়নের আটিগ্রামের মোটর সাইকেল চালক সুমন ও আরিফের রাস্তায় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথার কাটাকাটি ও হাতা-হাতি হয়। এর কিছুক্ষণ পরে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাবু’র ওপর হামলা চালালে এ সময় বাবু ও এখলাছ মিয়া গুরুতর জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ২৫ জুলাই নিহত এলমান হোসেন বাবু’র পিতা শাহীন মিয়া বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২০ জনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যামামলা সহ নানা অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এই মামলার এজহার নামীয় উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে বাদলকে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দুয়া থানার পুলিশ।।