নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় মৃত ব্যক্তি হামলা চালিয়ে ভেঙ্গেছে নৌকা প্রার্থীর বাড়িঘর ও আসবাবপত্র। শুনলে কিছুটা অবিশ^াস্য হলেও মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন গায়েবি অভিযোগ এনে থানায় দ্রুতবিচার আইনে মামলা দায়ের করেছে নৌকা প্রার্থীর ভাগনে শাহ আরেফিন রুমন। এঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কেন্দুয়া উপজেলার ১২ নং রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ নাজমুল হকের বাড়িতে ঘটে। এঘটনায় শুক্রবার রাতে শেখ নাজমুল হকের ভাগনে শাহ আরেফিন রুমন বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো ১২০ জনকে। মামলার আসামীরা ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্রপ্রার্থী লুৎফর রহমান আকন্দের ছোট ভাই,চাচাতো ভাই,আত্ময়ী-স্বজন ও কর্মী-সমর্থক এবং ইউনিয়নের ফতেপুর,কৈলাটি ও দ্বিগর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার ২৫ নং আসামী করা হয়েছে ফতেপুর গ্রামের মৃত ইছব আলী ছেলে মোঃ রহিম (৫৪) কে। তিনি গত ২৭ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করেছেন। তাছাড়া ৪৩ নং আসামী একজন প্যারালাইজড রোগী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২০ নং আসামী বেশ কিছ দিন ধরে রংপুর এলাকায় অবস্থান করছেন। এছাড়া ৪৭ ও ৪৮ নং আসামী একই ব্যক্তি জানিয়েছেন গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান। প্যারালাইজড রোগী ও মৃত ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, তিনি রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ নাজমুল হক আপন ভাগনে। তার মামাকে নৌকা প্রতীক দেয়ায় শত্রুতা পোষন করতে থাকে। এরই জের হিসেবে আমি ও মামা প্রচারণা কাজে ব্যস্ত হয়ে যাই। এই সুযোগে এজহারে বর্নিত ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা পূর্বপরিকল্পনা মতে ঘটনার সময় চাইনিজ কুড়াল,চাপাতি,লোহার হেমার,হকিস্টিক,কিরিচ,ধারালো রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে অস্ত্রের মহড়া প্রর্দশন করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে করতঃ জনমনে আতংক সৃষ্টি করে এলোপাথাড়ীভাবে কোপাইয়া ও বাইরাইয়া বসতঘরের দরজা,জানালা,রঙ্গিন টেলিভিশন,চেয়ার-টেবিল,স্টীলের আলমারীসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি সাধনসহ দুই লাখ ২৫ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় আসামীরা। এঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফর রহমান আকন্দ জানান,প্যারালাইজড রোগী ও মৃত ব্যক্তি রাতের আধারে গিয়ে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালাবে দুনিয়ার কোন মানুষ বিশ^াস করবে? আর তা কি সম্ভব। তিনি ভোটে হেরে যাবেন এমন আশঙ্কা থেকে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধোর করে উল্টো আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর একটি মিথ্যা মামলা চাপিয়ে দিয়ে মাঠ ও কেন্দ্র দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে কেন্দুয়া থানা ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন,বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে মৃত ও রোগী ব্যক্তি বিষয়ে জানা যাবে। সঠিক তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।