হত্যাকান্ডের পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের শনাক্ত করে অভিযোগপত্র দায়ের করত পারেনি পুলিশ। এতে পলাশের হত্যার সঠিক বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে স্বজনরা।
জানা গেছে, উপজেলার চর শ্রীরামপুর বাজারে পলাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতো। গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুবৃর্ত্তরা পলাশকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পলাশের ভাই নাইমুল হাসান রম্নবেল বাদী হয়ে নিহতের চাচাতো ভাই কাজল সহ ৮জনের নাম উলেস্নখ ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করে। সেখান থেকে মামলাটি প্রথমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পরে ময়মনসিংহ পুলিশ বু্রো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার ৭আসামিকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ওই আসামিরা জামিনে মুক্ত আছেন।
নিহত পলাশের স্বজনরা জানান, মামলার সন্দেহভাজন আসামিরা নিহত পলাশের চাচাত ভাই, স্বজন ও প্রতিবেশি। এরমধ্যে পলাশের চাচাত ভাই কাজলের দিকে পরিবারের সন্দেহ বেশি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাজল এ হত্যার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে।
নিহত পলাশের চাচা আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের তিন মাস আগে পলাশের এক ভাতিজাকে মারধর করে কাজল। পলাশ প্রতিবাদ করলে পরে গ্রাম্য সালিশে কাজল ঘটনার ক্ষমা চান। এরপর থেকে পলাশের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কাজল।
নিহত পলাশের অপর চাচা আবুল কালাম আজাদ বলেন, হত্যাকান্ডের দিন রাতে পলাশ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় কাজলের এক সহযোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা নেয়ার জন্য মোবাইল করে পলাশকে ডেকে নেয়। এ ঘটনার অল্প সময় পরেই পলাশ হত্যা হয়। এই ঘটনাগুলো কাজলের প্রতি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়।
পলাশের স্ত্রী লিমা আক্তার ১৪ মাস বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনুক এটাই দাবি।
জেলা পুলিশ বু্যরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার এজাহারভুক্ত আট জন আসামির মধ্যে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত্ম চলছে। নিহতের পরিবারের যাদেরকে সন্দেহ করছে তাদেরকে নিয়েও তদন্ত করেছি। ময়নাতদন্ত্ম প্রতিবেদন পেলে তদন্ত্ম আরো এগিয়ে যাবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়ার চেষ্টা চলছে।