মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
নৃসিংহদেবের চতুদর্শী ও আবির্ভাব উৎসব নেত্রকোনায় নানা আয়োজনে পালিত নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পুকুরের  পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু নেত্রকোনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার মদনে জাতীয় প্রাথমিক  শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা বাবাকে পিটিয়ে জখম করেছে ছেলে,মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকি নেত্রকোনায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন মদনে রাতের আঁধারে শিং মাছের ফিসারি বিষ প্রয়োগ নেত্রকোনায় বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদুকের অভিযান মদন আদর্শ কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজ কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করায় ৪ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার। নেত্রকোনায় আনসার ভিডিপির অ্যাডভান্স কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠিত

গৌরীপুরে পলাশ হত্যার সঠিক বিচার নিয়ে পরিবারের সংশয় 

সুপক রন্জন উকিল, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২
  • ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরের উপজেলায় মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসায়ী মইনুল হাসান পলাশ (৩০) হত্যার বিচার দ্রুত করার দাবি জানিয়েছে পরিবার। পলাশ উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চর শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। গত বছরের ৮আগস্ট রাতে দুবৃর্ত্তরা ছুরিকাঘাত করে পলাশকে হত্যা করে।
হত্যাকান্ডের পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের শনাক্ত করে অভিযোগপত্র দায়ের করত পারেনি পুলিশ। এতে পলাশের হত্যার সঠিক বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে স্বজনরা।
জানা গেছে, উপজেলার চর শ্রীরামপুর বাজারে পলাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করতো। গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুবৃর্ত্তরা পলাশকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পলাশের ভাই নাইমুল হাসান রম্নবেল বাদী হয়ে নিহতের চাচাতো ভাই কাজল সহ ৮জনের নাম উলেস্নখ ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করে। সেখান থেকে মামলাটি প্রথমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পরে ময়মনসিংহ পুলিশ বু্রো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার ৭আসামিকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ওই আসামিরা জামিনে মুক্ত আছেন।
নিহত পলাশের স্বজনরা জানান, মামলার সন্দেহভাজন আসামিরা নিহত পলাশের চাচাত ভাই, স্বজন ও প্রতিবেশি। এরমধ্যে পলাশের চাচাত ভাই কাজলের দিকে পরিবারের সন্দেহ বেশি। পরিবারের সদস্যদের ধারণা পূর্ব বিরোধের জের ধরে কাজল এ হত্যার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে।
নিহত পলাশের চাচা আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের তিন মাস আগে পলাশের এক ভাতিজাকে মারধর করে কাজল। পলাশ প্রতিবাদ করলে পরে গ্রাম্য সালিশে কাজল ঘটনার ক্ষমা চান। এরপর থেকে পলাশের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন কাজল।
নিহত পলাশের অপর চাচা আবুল কালাম আজাদ বলেন, হত্যাকান্ডের দিন রাতে পলাশ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় কাজলের এক সহযোগী মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা নেয়ার জন্য মোবাইল করে পলাশকে ডেকে নেয়। এ ঘটনার অল্প সময় পরেই পলাশ হত্যা হয়। এই ঘটনাগুলো কাজলের প্রতি আমাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়।
পলাশের স্ত্রী লিমা আক্তার ১৪ মাস বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দায়ের করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনুক এটাই দাবি।
জেলা পুলিশ বু্যরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবুল কাশেম সাংবাদিকদের জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলার এজাহারভুক্ত আট জন আসামির মধ্যে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্ত্ম চলছে। নিহতের পরিবারের যাদেরকে সন্দেহ করছে তাদেরকে নিয়েও তদন্ত করেছি। ময়নাতদন্ত্ম প্রতিবেদন পেলে তদন্ত্ম আরো এগিয়ে যাবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়ার চেষ্টা চলছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin