সরকারের শেষ সময়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জামাত-বিএনপি নীলনকশা নিয়ে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাত ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা গত কয়েক মাসে বেশ কিছু গোপন বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে জামাত ও বিএনপির পরিচয় গোপন করে বর্তমান সরকারের সমর্থক রূপে যেসব শিক্ষক রয়েছেন, তারাও যোগ দেন। জামাত-বিএনপির সঙ্গে সরকারে অনুপ্রবেশকারীদের আঁতাতের কারণে গত মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নির্বাচনে জামাতের শিক্ষক নেতা প্রফেসর ড. শামীমউদ্দিন খান নির্বাচিত হন। সরকারপন্থী শিক্ষক গ্রুপে জামাত ও বিএনপির অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থনে নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মতাদর্শের অনুসারীদের। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন পর্ষদে জামাত ও বিএনপিপন্থীরা আওয়ামীপন্থী গ্রুপে ঘাপটি মেরে থাকা নিজেদের লোকদের নির্বাচিত করছে। সমিতির শীর্ষ পদে কুমিল্লার ইবনে তাইমিয়া মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ জামাত নেতার পুত্র নির্বাচিত হয়েছেন। জামাত, বিএনপি ও সরকারপন্থীদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীরা তাকে উপাচার্য বানানোর জন্যেও তৎপর বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনে জামাত-বিএনপির উত্থানে উৎসাহিত হয়ে প্রশাসন থেকে তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসীরা গণপদত্যাগ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অস্থিরতা সৃষ্টির মূল লক্ষ্য হলো সরকারের শেষ সময়ের সুবিধা নিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে বিব্রত করে নিজেদের লোককে উপাচার্য পদে আসীন করা। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার সমর্থক হলুদ দলের একাধিক নেতা জানান, বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ও অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ। বর্তমান উপাচার্য দক্ষিণ চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির একজন বিশ্বস্ত উত্তরাধিকার। জামাত ও বিএনপির ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করবো এবং দলে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার মাধ্যমে প্রশাসনে তাদের পুনর্বাসন প্রতিহত করবো।