
নেত্রকোণায় চেক প্রতারণা মামলায় মো. দেলোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলায় ৮০ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও ২ বছর ১০ মাস কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিকেলে নেত্রকোণা যুগ্ন ও দায়রা জজ আদালত ১ম এবং যুগ্ন ও দায়রা জজ আদালত ২য় নেত্রকোণা এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণা জেলা শহরের উত্তর সাতপাই এলাকার মতিয়র রহমান খানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন খানের সাথে দীর্ঘ সময় একই এলাকার মৃত কসম উদ্দিন খানের ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন ঠিকাদারী ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসার আয় এবং গোলাম মহিউদ্দিন খানের ক্রয় করা কিছু জমি দেলোয়ার হোসেন খানকে রেজিস্ট্রী করে দেন। ব্যবসা চলার এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা সালিশ হয়। এরপরে তারা পৃথকভাবে ব্যবসা শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে দেলোয়ার হোসেন খান ৮০ লাখ টাকার তিনটি চেক গোলাম মহিউদ্দিনকে দেন।
২০১৮ সালের ২ এপ্রিল চেকগুলো নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তিপত্র নোটারী করা হয়।
গত ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ৫০ লাখ, পরের বছর ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ ২০ লাখ ও একই বছরের ১৬ মে আরও ১০ লাখ টাকার চেকগুলো উল্লেখিত তারিখে এসআইবিএল ব্যাংক লিমিটেড সাতপাই শাখার অনূকুলে দেন। চেকগুলো ব্যাংকে জমা দিলে ডিজওনার হয়।
চেক ডিজওনার হওয়ার নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ২০১৯ সালে দেলোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন গোলাম মহিউদ্দিন।
মামলায় আসামী দেলোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় বুধবার বিকেলে বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী ও বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এ রায় দেন।
রাস্ট্রপক্ষে আইনজীবি ছিলেন যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ম অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ ও যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২য় অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম।
বাদী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শিবলী সাদী অপু ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন খান।