নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের হিরনপুর কুমারকান্দা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে দেবরদের হাতে ভাবী রানু বেগম (৩৫) খুন হয়েছে। এ সময় তাদের হাতে রানু বেগমের তিন বছরের শিশু আলিফ ওরফে রনি গুরুতর আহত হয়েছে।
আহত আলিফ ওরফে রনি’র অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমারকান্দা গ্রামের আব্দুর রাশিদের বড় ছেলে মোঃ খোকন মিয়া দীর্ঘ ৮ বছর বিদেশে থাকার পর সম্প্রতি বাড়ীতে ফিরে এসেছে। কয়েকদিন আগে সে তার স্ত্রী রানু বেগমের নামে ৮ শতাংশ জমি লিখে দেয়।
এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে দ্ব›দ্ব দেখা দেয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খোকন মিয়া কাজে বাড়ীর বাইরে চলে গেলে রানু বেগমের সাথে জমি লিখে নেয়া নিয়ে খোকন মিয়ার ছোট ভাই সুজন মিয়া (৩০), রুবেল মিয়া (২৮), সুমন মিয়া (২৬), ইমন মিয়ার (২৪) ঝগড়া শুরু হয়।
এ সময় তাদের বাবা আব্দুর রাশিদও ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এরই এক পর্যায়ে তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রানু বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় তারা খোকন মিয়ার তিন বছরের ছেলে রনিকে খুন করার জন্য শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রনিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহ্ শিবলী সাদিক দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সুজন মিয়া (৩০) ও তার মা রাবেয়া বেগমকে(৫০) আটক করা হয়েছে।