ঈদুল আজহার সামনে রেখে জমে উঠেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অন্তর্গত ৭নং সহনাটী ইউনিয়নের গিধাউষা মডেল বাজার সংলগ্ন অস্থায়ী পশুর হাট।বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্তএখানে গরু-ছাগলের হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।তথ্যমতে, আগামী ২১জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
সেই অনুযায়ী ঈদের আর মাত্র ছয় দিন বাকি। ঈদ ঘনিয়ে এলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গ্রামের কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এই হাটে এসেছে প্রায় দেড় হাজার গরু। হাটে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার কারণে ক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে একটু দূরে দূরে। আশপাশের লোকজন গরু হাটে ঘুরতে দেখা যায়। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান জামালবলছেন, মূলত তিন বছর ধরে ঈদের সাত দিন আগে এখানে পশুর হাট জমে ওঠে। এবারও তেমনটা হবে বলে তিনি আশাবাদী।আমাদের এখানে সব ধরেনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাটের কার্যক্রম চলার জন্য বলা হয়েছে।
পশুর হাটের এক বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকে দুইটা গরু এখানে নিয়ে আসছি। । লাল গরুটার দাম উঠছে ৯৫ হাজার টাকা। আর কালো গরুটার দাম উঠছে এক লাখ টাকা। এখন বাজার দরের অপে¶ায় আছি। যে দাম আসবে সেই দামে বিক্রি করবো। লাভ-¶তি যাই হোক বিক্রি করে বাড়ি যাবো।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক স্থানীয় বড়-বড় ব্যাপারীরা এবার গ্রামের হাটে গরু এনেছেন। বাজার গরু-ছাগলের হাটের ইজারাদার মো.আবুল হোসেন বলেন, গৌরীপুর শহর থেকে আমাদের হাট ১২ কিলো মিটার দূরে থাকার কারণে ভরে যায় গরু-ছাগলে। এ হাট চার উপজেলার মাঝখানে।আশা করছি, আগামীশনিবার এবং সোমবার দুপুরের পর থেকে পুরোদমে বেচা-কেনা শুরু হয়ে যাবে।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচুর সরবরাহ থাকলেও দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। লক্ষ্য করা যায় কেউ কেউ আরেকটা প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন এ হাটে।অনলাইনে কেনা যাচ্ছে গরু : প্রযুক্তি ছোঁয়া লেগেছে গরুর হাটেও। হাটে গিয়ে যারা গরু কিনতে চান না অথবা হাট সম্পর্কে ধারণা নিতে অনেকেই বিভিন্ন ক্রয় বিক্রয়ের অনলাইন মাধ্যমে ঢু মারছেন। এ ছাড়া হাটের বিভিন্ন আকারের গরুর ছবি আপলোড করে ক্রেতাদের কাছে উপস্থাপন করা হচ্ছে অনলাইন মাধ্যমগুলো। অনলাইনে ক্রেতা কোনো পশু কিনলে তার ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।