নেত্রকোণা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ড (দুর্গাপুর উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদে সুরমি আক্তার সুমি নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোণা জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ড (দুর্গাপুর উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদে দুই পুরুষ ও দুই মহিলাসহ মোট চার জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এরা হলেন জুয়েল মিয়া, মোঃ আব্দুল করিম, সুরমি আক্তার সুমি ও আনোয়ারা বেগম।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ছোট বড় অসংখ্য গারো পাহাড়, পাহাড়ের কুল ঘেষে কল কল শব্দে বয়ে চলা স্বচ্ছ নিলাভ জলরাশি, গারো, হাজং এবং বাঙালী অধ্যুষিত নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি দুর্গাপুর উপজেলা। এ উপজেলায় নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ততই জমে উঠছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সামনে প্রার্থীদের প্রতিক সম্বলিত ব্যানার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে কোশল বিনিময়, দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন না করে সাধারণ সদস্য পদে দুই জন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করায় ভোটার এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতুহল পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুজনই দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আলাউদ্দিনের স্ত্রী। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত কে বিজয়ের হাঁসি হাঁসবে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা।
নির্বাচনে সুরমি আক্তার সুমি লড়ছেন অটোরিকশা প্রতিক নিয়ে, আনোয়ারা বেগম লড়ছেন তালা প্রতিক নিয়ে, আব্দুল করিম হাতি প্রতীক নিয়ে আর জুয়েল মিয়া লড়ছেন টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে।
মেয়র আলাউদ্দিন আলালের ব্যবসায়িক সহযোগী ধনেশ পত্রনবীশ দ্বীপক জানান, আলাউদ্দিন আলাল বেশ কিছুদিন ধরে মারাত্মক শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরো জানান, সুরমি আক্তার সুমির প্রতি মেয়র আলাউদ্দিনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তার পক্ষে কর্মী সমর্থকরা দিনরাত নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সুরমি আক্তার সুমির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার স্বামী অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছিলেন। তা ছাড়া পারিবারিক সিদ্ধান্তেই আমি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছি। সুমি আরও বলেন, ‘আমি গত ২১ দিন ধরে স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। এ মুহূর্তে তার সুস্থতাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় চাওয়া। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আমার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সব আত্মীয়-স্বজন ও পৌর পরিষদের কাউন্সিলরা আমার পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। আশা করি, তারা আমাকে নির্বাচিত করবেন। অপরদিকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় অপর তিন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা মাঠে কাজ করছেন। তারাও নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।