বিএনপি- জামায়াত আহুত তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচীর প্রথম দিন মঙ্গলবার নেত্রকোনায় ডিলে ঢালে ভাবে অবরোধ চলছে।
পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পূর্বধলা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ বিএনপি জামায়াতের ১১ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে ।
ঢাকায় মহাসমাবেশে আওয়ামীলীগ ও পুলিশের পরিকল্পিত হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গণ গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, নানা ধরণের হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই অবরোধ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে বিএনপি জামায়াতও সমমনা দলগুলো।
সকাল থেকেই অবরোধ কর্মসূচীর সমর্থনে বিভিন্ন সড়কে খন্ড খন্ড মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ রোডে চল্লিশার ঝাউশী এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করতে থাকে। জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা নেত্রকোনা-পূর্বধলা রোডে গাড়া এলাকায় এবং নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ রোডে রাজুর বাজার এলাকায়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নেত্রকোনা-মদন সড়কের লক্ষীগঞ্জ এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং করে। এদিকে কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে চিরাং ও রামপুর এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং হয়। এ সময় ঝাউশী এলাকায় দুটি সিএনজি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি আসায় অবরোধকারীরা সেখান থেকে সরে যায়।
অবরোধ চলাকালীন সময়ে নেত্রকোনা জেলা শহরে কিছু কিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করলেও আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার বাস তেমন একটা চলাচল করেনি। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় বাস স্যান্ড থেকে দুই একটা করে বাস চলাচল করতে শুরু করে। যানবাহন ভাংচুর ও যে কোন ধরণের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি’র টহল দল মাঠে অবস্থান করছে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সার্বক্ষনিক টহল দিচ্ছে।