সারা দেশের মত ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী। শাস্ত্রীয় মতে , রোহিনী নক্ষত্রে জন্ম হয়েছিল শ্রী কৃষ্ণের। যিনি দুষ্টের দমন, আর শিষ্টের পালনের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন তাঁর বহু ভক্তকে।
কৃষ্ণের জন্মকাহিনি, জীবন নিয়ে তাঁর ভক্তদের মধ্যে উৎসাহের শেষ নেই। হিন্দু পুরাণের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র কৃষ্ণ। মহাভারত, ভাগবত গীতা, বৈষ্ণব পদাবলী সর্বত্রই তাঁর অবাধ বিচরণ। তাই গোটা দেশ জুড়ে আজ মহাসমারোহে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন করা হচ্ছে। কৃষ্ণ ভক্তদের কাছে জন্মাষ্টমীকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কয়েকটি কারণ হল
শ্রীকৃষ্ণকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তারা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই ভগবান স্বর্গ থেকে মনুষ্য রূপে মর্ত্যে আবির্ভূত হন।অন্যতম প্রধান হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতাতেও সেই প্রমাণ মিলেছে। হিন্দু পুরাণমতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টম তিথিতে শ্রী কৃষ্ণ জন্ম নেন। সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।
জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে জানতে চাইলে শ্রীশ্রী গোবিন্দ জিউর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বাবু স্বপন এস জানান অন্যান্য বছর আনন্দ শুভাযাত্রা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকলেও এই বৎসর করোনা মহামারির কারণে শুধু মন্দিরে পুজা অর্চনা হবে।
এদিকে শ্রীশ্রী রাধা গোপীনাথ জিউ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বাবু সুজিত দেবনাথ জানান করোনা মহামারিকে মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধিমালা মেনে সারাদিন ব্যাপী ভাগবত আলোচনা, রাত্রে শুভ অভিষেক ও পরদিন সকালে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে এই বিশেষ দিনটি পালন করবেন। এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা সহ বিশ্ববাসীর করোনা মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করেছেন।