নেত্রকোনা মদন উপজেলা তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাইরেউড়া গ্রামের পিছনের ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে ধলাই নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে শিবপা গ্রামের মৃত ওহেদ আলী মিয়ার ছেলে হাইয়ুল ও মৃত হিরন চৌধুরীর ছেলে মাজহারুল।
গত মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় একটি প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাইরেউড়া গ্রামের পিছনের ধলাই নদীর পার কেটে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে ধলাই নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে দুই ব্যক্তি হাইয়ূল এবং মাযহারুল নামে দুই মাটি ব্যবসায়ী।
বিনা অনুমতি নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি নিয়ে কথা বলায় ভয় ভীতি এবং হুমকি দেখায় সাংবাদিকদের। ঘটনাস্থল থেকে সাথে সাথে মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আলম মিয়া এবং ভূমি সহকারী কমিশনার জনাব এটিএম আরিফ কে এ বিষয়টি অবগত করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মদন উপজেলা শাখার দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক হাবিবুর রহমান।
উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার জনাব এটিএম আরিফ সাথে সাথে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তহসিলদার নায়েবকে নির্দেশনা প্রদান করেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করার জন্য। সত্যতা নিশ্চিত করার পর দুজনকে অফসে ভূমি সহকারী কমিশনার এটিএম আরিফ।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানায় শিবপাশা গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলী মিয়ার ছেলে হাইয়ুল মিয়া ও মৃত হিরন চৌধুরীর ছেলে মাজহারুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে।
পরবর্তীতে ১৫ ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার
অবৈধ ভেকু ব্যবসায়ী মাজহারুল ও হায়ুইলকে উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার এটিএম আরিফ ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দুজনকেই থানায় আটক করে রাখেন।
এবং সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এর নামে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন ভূমি সহকারী কমিশনার এটিএম আরিফ বরাবর।
উক্ত মিথ্যা অভিযোগকারী হাইয়ূল এবং মাজহারুল ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মিথ্যা অভিযোগটি প্রত্যাহার করেন গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার।
মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করে অভিযোগকারী হাইয়ুল এবং মাজহারুল সততা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা ভূমি সরকারী কমিশনার অফিসে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে বলেন, সাংবাদিক হাবিবের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন তার পরে ভূমি অফিসে একজনে লিখে এনে আমাদের দুজনের কাছ থেকে সাইন করিয়ে রাখেন অভিযোগে কি লেখা আছে ,না আছে আমরা মূর্খ মানুষ লেখাপড়া জানিনা সাইন করে দেই। পরবর্তীতে জানতে পারি সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এর নামে আমার অভিযোগ করেছি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ প্রত্যাহারের কপি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার এটিএম আরিফ বলেন, প্রত্যাহারের কপি পেয়েছি আপনি একটু সাক্ষাতে কথা বইলেন।
মোঃ আংগুর রহমান ভূইয়া
মোবাইল ০১৯০৫৩৪০২৭২
তাং২৫/০২/২৪ ইং