নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নের মল্লিকপুর শুনই গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মিজান মিয়া নামে একজন গুরুত্ব আহত হয়েছে।
আহত মিজান মিয়া একই গ্রামের মো: আব্দুল ফকিরের ছেলে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদেরকে আসামী করে ঘটনার পরদিন ৭ এপ্রিল আটপাড়া থানায় জুবায়ের হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৯।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল, বুধবার বাদীর ভোগ দখলকৃত জমিতে জোর পূর্বক আসামী ১। ওয়াজেদ আকন্দ, পিতা: মৃত কলম ফকির, ২। জিহাদ আকন্দ, পিতা: ওয়াজেদ মিয়া, ৩। মেন্টু আকন্দ, পিতা: মৃত কলম ফকির, ৪। রেজাব আকন্দ, পিতা: মৃত কলম ফকির, ৫। রুবেল আকন্দ, পিতা: মেন্টু আকন্দ ও ৬। নূর মোহাম্মদ আকন্দ, পিতা: ছমেদ আকন্দ ১নং আসামীর হুকুমে দলবদ্ধ ভাবে বাদীর জমিতে বেড়া দেয়ার সময় জোর পূর্বক দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে প্রবেশ করিয়া আঘাত করতে গেলে মিজান মিয়া বাঁধা দিলে ২নং আসামী জিহাদ আকন্দের হাতে থাকা রামদা দিয়ে মিজানের পিঠে কুপ মারিলে গুরুত্বর আহত করলে বাদী জুবায়ের হোসেন ফিরাইতে গেলে রুবেল আকন্দ ও নূর মোহাম্মদ আকন্দ তাকেও শারীরিক ভাবে আঘাত করে। এছাড়া জখমী মিজান মিয়া গুরত্বর আহত হয়ে মাটিতে পড়িয়া গেলে এজাহারে উল্লেখিত আসামী মেন্টু আকন্দ ও রেজাব আকন্দ তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাতারিভাবে বাইরাইয়া গুরুত্বর জখম করে। আহত মিজানের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক মনে হলে তাকে সিএনজি যোগে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মিজানের মুমূর্ষ অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর ইকবালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং একজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি।
অন্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।