নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ডাহাপাড়া এলাকার এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় অপহৃতকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার ভোর ৫টার দিকে অপহৃত তরুণী ও অভিযুক্তকে গাজীপুর জেলার গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। গত ৩০ মার্চ বিকেল ৫টার দিকে ওই তরুণী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে প্রতিবেশী তৃণার বাড়িতে গেলে সেখান থেকে ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে অপহরণ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ। প্রধান অভিযুক্ত গোলাম হোসেন রাব্বী(১৭)দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ফারংপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার ছেলে। অন্য অভিযুক্তরা হলো দাহাপাড়া এলাকার চন্দন হাজং’র ছেলে সৌরভ হাজং(১৮),বিজয় এর পুত্র তৃণা(১৮) ও ফারংপাড়া এলাকার আহাম্মদ আলী সরকারের পুত্র তোফাজ্জাল হোসেন(৪০), কামাল হোসেন(৩৮)।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, দুর্গাপুর পৌর সদরের একটি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে দশম শ্রেণিতে পড়তো শিক্ষার্থী। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতো। উত্ত্যক্তের বিষয়টি অবগত হয়ে শিক্ষার্থী মা অভিযুক্ত’র পরিবারকে মৌখিকভাবে জানালেও কোন কর্নপাত করেননি। গত বুধবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ব্যাগ রেখে প্রতিবেশী তৃণাদের বাড়িতে যায়। বাসায় ফিরতে দেরী হওয়ায় আশ পাশে খোঁজ নেন। লোক মারফত জানতে পারেন, গোলাম হোসেন রাব্বী ওই শিক্ষার্থীকে চায়না মোড় এলাকা দিয়ে পশ্চিম দিকে যেতে দেখেছেন।
এমন তথ্য থেকে ওদের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন বলেন চিন্তার কোন কারণ নাই,‘আপনার সন্তান সেখানে আছে, সেখানে ভালই আছে’ বলে একদিনের সময় চেয়ে নেন। পরে বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং ঘটনায় জড়িত গোলাম রাব্বীকে উদ্ধার করে মামলা রুজু করে পুলিশ। দুর্গাপুর থানার ওসি মীর মাহাবুবুর রহমান জানান, অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ভিকটিমের অবস্থান নিশ্চিত করে অল্প সময়ের মধ্যেই অপহৃতকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারকৃত অপহরনের মুলহোতা গোলাম হোসেন রাব্বীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। বাকীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।