নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়াপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০টি পরিবার ৪০/৫০ জন লোক সন্ত্রাসীদের ভয়ে গৃহবন্দী হয়ে থাকলে খবর পেয়ে ধলামূলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের ঘাগড়া পাড়া গ্রামের নিরীহ মতিউর রহমানের পরিবারের সাথে একই গ্রামের শাহজাহানের পরিবারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। শাহজাহানের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় বার বার নিরীহ মতিউর রহমানের পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বিগত তিনদিন যাবৎ মতিউর রহমানের বাড়ির ১০টি পরিবার সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে গৃহবন্দী হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি ও পুলিশের সহযোগিতায় আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমঋতার চেষ্টা করে রের হয়ার সাথে সাথেই পুলিশের উপস্থিতিতে শাহজাহানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী অর্তকিতভাবে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়।
এ সময় শিল্পনা আক্তার (৩০) আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন থাকে উদ্ধার করে পূর্বধলা হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে মতিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ওরা অন্যায়ভাবে বার বার আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আসছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিমাংসা চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। আজ সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের উপর হামলা চালায়। ১ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ শাহজাহানের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক জানান, উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে আরার বসব।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।