বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঈশ্বরগঞ্জের ইতিবৃত্ত ও অজানা কিছু ইতিহাস ( পর্ব-৩) নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় শিল্প বিপ্লব নিয়ে দুই শতাধিক তরুণের অংশ গ্রহণে ভাবনা উৎসব নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় ‘স্মরণে মননে হেলাল হাফিজ’ সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত আটপাড়ায় অনিয়মের অভিযোগ দেখিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষককে বরখাস্ত নেত্রকোণা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে বাস সার্ভিস চালু মদন চাঁনগাও ইউনিয়নে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস লক্ষীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পরুষ্কার বিতরনী ২০২৫ অনুষ্ঠিত আটপাড়ায় সরকারি জায়গা দখল, অভিযোগ এলাকাবাসীর। নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এর উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প

নেত্রকোণার সফল নারী উদ্যোক্তা ‘হেনরী আমীন পপি

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
 নেত্রকোণা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কারলী গ্রামের সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন হেনরী আমিন পপি। তার প্রতিষ্ঠিত রাবেয়া ফ্যাশন হাউজে শাড়ী, ত্রি-পিচ, পাঞ্জাবী, বিছানার চাদরসহ বিভিন্ন কাপড়ে নকশী তৈরী করা হয়। তার এখানে এলাকার অনেক নারীরা কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী নারীরা। তবে এ ধরনের উদ্যোগে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মোঃ আক্রাম হোসেন ও নেত্রকোণা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হারুন-অর-রশিদ ।
হেনরী আমিন পপি ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। বিয়ের পর স্বামীর সংসারে থেকে বাইরে বের হওয়া নিষেধ ছিল। আর সেই সকল বাধা পেরিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে শিক্ষা নিয়ে তৈরী করেন রাবেয়া ফ্যাশন হাউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পূরণ হয়েছে অনেকদিনের স্বপ্ন। ১ শত ২০ জন নারীকর্মী কাজ করছে তার এখানে। কাপড়ে বিভিন্ন নকশা ও ছাপ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে নারীরা। লাভবান হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে। দরিদ্র সংসারে যোগান দিচ্ছে বাড়তি টাকা। সেলাইয়ের কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীরাও।
কারলী গ্রামের মোছা: বকুল, লিজা আক্তার, জেসমিন আক্তার, শিক্ষার্থী নাসরিনসহ অনেক নারী কর্মী বলেন, হেনরী আমিন পপির প্রতিষ্ঠিত রাবেয়া ফ্যাশন হাউজে শাড়ী, পাঞ্জাবী, ত্রি-পিচ, কোশন কভারসহ বিভিন্ন ধরনের হাত ব্যাগে দৃষ্টিনন্দন নকশী এবং কাপড়ে নানা ডিজাইনের ব্লক করা হয়। কাপড়ে বাহারী ডিজাইনের নকশী তৈরী করা হয়। স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি নারীরাও স্বাবলম্বী হচ্ছে। এতে সংসারে বাড়তি আয় হচ্ছে। কমে যাচ্ছে দারিদ্রতা। শিক্ষার্থীরাও কাজ করে লেখাপড়ার খরচ যোগান দিচ্ছে। ফলে গ্রামীণ সমাজে দ্রুত পরিবর্তন আসার সাথে সাথে অর্থনৈতিকভাবেও উন্নয়ন হচ্ছে।
নারী উদ্যোক্ত হেনরী আমিন পপি বলেন, ‘গ্রামের বধু হয়ে শহরে গিয়ে কাজ করা নিষেধ ছিল স্বামীর পরিবারের লোকজনের। আর শত বাধা পেরিয়ে সেলাই কাজে স্বাবলম্বী হয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। এক সময় গ্রামের সবাই আমাকে নিয়ে সমালোচনা করত। এখন আবার তারাই বলে আমি তাদের অনুপ্রেরণা। আমার ৩ হাজার ৫শত টাকার পুঁজি বর্তমানে ২৫ লক্ষ টাকায় দাঁয়েয়েছে। ইতিমধ্যে আমার দেশীয় পণ্য ৬৩টি জেলায় যাচ্ছে। দেশের বাহিরে স্পেন, কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেন, সুইডেনসহ অনেক দেশে যাচ্ছে আমার পণ্য। আমি চাই সমাজে অবহেলিত সকল নারীরা এভাবে এগিয়ে আসলে তারাও প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।’
নেত্রকোণা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উপ-ব্যবস্থাপক মোঃ আক্রাম হোসেন বলেন, পপির এখানে কাজ করে অনেক অবহেলিত নারী স্বাবলম্বীর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। তবে তার মত অন্য নারী উদ্যোক্তদেরও সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
দেশে অবহেলিত নারীদের কর্ম সংস্থানে বিভিন্নভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে সরকার, এমনটিই প্রত্যাশা করেন জেলাবাসী।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin