নেত্রকোণা পৌর শহরের পারলা এলাকায় অগ্নিকান্ডে ঘটনায় প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পর ফায়ার স্টেশনের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেড়েছে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ সহ স্থানীয়দের। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফায়ার স্টেশন অফিসার অফিসার।
এলাকাবাসী জানায়,কয়েক মিনিটের অগ্নিকান্ডে বেঁচে থাকার একমাত্র প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ যন্ত্রাংশ পুরে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন নেত্রকোণা পৌর শহরের পারলা কদমতলী এলাকার দুই গ্যারেজ মালিক। তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যাওয়ায় এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (৯ মে) সোমবার রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্যারেজে থাকা তিনটি প্রাইভেট কার ও তিনটি হায়েজ মাইক্রো আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ২.৩০ মিনিটের সময় হঠাৎ এই অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ঘটনাস্থল কাছাকাছি হলেও দীর্ঘক্ষন পর ঘটানাস্থালে পৗঁছায় ফায়ারকর্মীরা। এতে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে কয়েক গুণ। সময়মতো ফায়ার সার্ভিস ফোন ধরেননি।
পরবর্তীতে ত্রিপল নাইনে ফোন করে খবর পৌঁছেতে হয় নেত্রকোনা ফায়ার স্টেশনে। এজন্য ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্থ সিলেট মোটরসের মালিক আজিজুল ও নাঈম মোটরসের মালিক ইব্রাহিম জানান, গ্যারেজে থাকা তিনটি প্রাইভেট কার ও তিনটি হায়েজ মাইক্রোসহ অন্তত দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে তাদের।
এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন মালিকরা। তবে ঈদের ছুটিতে গ্যারেজ বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি। এমতাবস্থায় সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ সহ স্থানীয়রা।
এদিকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সময়মতই ঘটনাস্থালে পৌছেছেন বলে দাবি করেন, নেত্রকোণা ফায়ার স্টেশন অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন।
তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠা গাফেলতির অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখবেন উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষ।