শিরোনাম পড়েই হয়তো কেউ কেউ অবাক। চোররাও কি আজকাল পেটায় ঢোল-ঢাক! ঈদ আনন্দে আমি মাতবো, তুমি মাতবে। চোরও কি তবে সামিল হবে! বলছি এবার সেই কাহিনী।
নেত্রকোণা শহরের আখড়ার মোড়ে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। চোর ধরতে জমে উঠেছে চোর-পুলিশ খেলা। চোরের জায়গায় চোর থাকলেও পুলিশের রিপ্লেস মেন্ট ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসার পাশাপাশি চোর ধরতে ওত পেতে থাকা কিংবা চোর সন্দেহে দাবড়ানো যেন নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার-স্যাপার। আবার কখনো বুঝার আগেই চোর গায়েব। সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার।
নেত্রকোণা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীক অঞ্চল আখড়ার মোড়। সেখানে বিগত কয়েক মাসে অন্তত ৭-৮ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। যেখানে চুরি যাওয়া অর্থের পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন চোর খুব ধূর্ত হওয়ায় দিতে হচ্ছে বাড়তি নজরদারি।
অত্র এলাকায় কার্তিক সাহা নামক এক ষ্টোরে গত দুই মাসের মধ্যে পরপর দুটি চুরির ঘটনা ঘটে। যার চুরি যাওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় দশ হাজার টাকারও অধিক।
প্রোপাইটর রনি সাহা বলেন, গত ২২ এপ্রিল আমি পানি আনতে আখড়ার ভেতরে যাই। এসে দেখি আমার ক্যাশে একটি টাকাও নেই। আনুমানিক ৫-৬ হাজার হবে। এর আগেও একইভাবে মালামাল চুরির স্বীকার হয়েছি।
তারই পার্শ্ববর্তী বাংলা মুড়ি এন্ড বেকারি থেকে কয়েক মাস আগে ভোর রাতে একটি টিভি চুরি হয়েছিল। বেকারির দেখভালের দায়িত্বে থাকা মোরসালিন মিয়া জানান, থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। উল্টো মাঝে মধ্যেই দোকান থেকে পণ্য গায়েব হয়।
এসব ছাপিয়ে চোর বড়দান মেরেছে ফল ব্যবসায়ী সত্যজিত সরকার’র দোকানে। যেন ধূলি পড়া দিয়ে মূহুর্তেই ক্যাশের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও। গত ১১ এপ্রিল ফল বিক্রির সব অর্থ চুরি যায়। এরপর থেকেই তিনি চোর ধরে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পণ করে বসেছেন।
সুপারি ব্যবসায়ী বাপন সাহা বলেন, কিছুদিন আগে আমার দোকানে আসা এক ক্রেতার ব্যাগ থেকে দশ হাজার টাকা উধাও। তন্নতন্ন করে খোঁজেও সেই টাকার হুদিশ মিলেনি।
এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি দোকানে ছোট-বড় চুরির ঘটনা হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে।
কেউ কেউ আবার হাস্যরস করে বলছেন চোরদের ঈদ উদযাপনের খুবই তাড়া রয়েছে, কারণ ঈদ তো চোরদেরও আছে।