নেত্রকোণা জেলার বারহাট্রা উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের রাহেলা আক্তার (৩০) নামের এক মহিলাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় মুকুল মিয়ার বাড়ির উঠানে মুকুল মিয়ার স্ত্রী রাহেলা আক্তারকে বকুল মিয়ার স্ত্রী ও মেয়েসহ তিন চার জন মিলে টেনে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামরিয়ে রাহেলা আক্তারকে গুরুতর আহত করেছে। পরে এলাকার লোকজন ভাড়া মোটর সাইকেল দিয়ে নেত্রকোণা হাসপাতালে পাঠায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বকুল মিয়া ও মুকুল মিয়া তারা আপন দুই ভাই। এক ভাইয়ের সাথে আরেক ভাইয়ের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ রিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রাহেলা আক্তার ও কমলা আক্তারের প্রায় সময় দুই জনের কথার কাটাকাটি হয়।
তারপর হঠাৎ করে বকুল মিয়ার স্ত্রী তার মেয়ে সোনিয়াকে নিয়ে গিয়ে রাহেলা আক্তারকে বেগতিকভাবে কিল ঘুষি ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামরিয়ে রাহেলার শরীর ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে।
পরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায়
নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে রাহেলা নেত্রকোণা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ভুক্তভোগী রাহেলা আক্তার বলেন, আমাকে গলাটিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল আমি অনেক কষ্ট করে বেঁচে রয়েছি। আমার শরীরের হাতে ও গলায় কামড়িয়েছে। আমি এখন বিষণ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছি।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল আইয়ালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি মিমাংসার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা মিমাংসায় আসেনি।
এ বিষয়ে বারহাট্রা থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।