আজ সোমবার দুপুরে সকল সাক্ষী প্রমাণ শেষে আসামি মোঃ মিলন মিয়ার উপস্থিতিতে বিচারক শাহজাহান কবির এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,মিলন মিয়া নরসিংদীতে টিভি ফ্রিজ এর দোকানে কর্মচারী থাকাকালীন সময়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিনের সাথে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় সম্পর্ক।
কিন্তু বিয়ের পর স্বামী মিলন মিয়া জানতে পারেন দ্বিতীয় স্ত্রী দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। এরপর থেকেই পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো তাদের।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২০ আগষ্ট নেত্রকোণা পৌরশহরের হোসেনপুর এলাকায় ধানক্ষেত থেকে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের নাসরিন আক্তারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে পুলিশ পরিদর্শক সোলায়মান হক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত শেষে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বৃকালিকা গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে মিলন মিয়া (৩৫)কে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে মডেল থানা পুলিশ।
আদালতে দেয়া জবানবন্দি ও ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদাল এ রায় প্রদান করেন।
এদিকে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই মামলাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে সঠিক বিচার পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। হত্যা মামলায় এমন রায়ে সামাজিক ভাবে হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলেও মনে করেন নেত্রকোণা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার মাসুদ।