বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ঈশ্বরগঞ্জের ইতিবৃত্ত ও অজানা কিছু ইতিহাস ( পর্ব-৩) নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় শিল্প বিপ্লব নিয়ে দুই শতাধিক তরুণের অংশ গ্রহণে ভাবনা উৎসব নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় ‘স্মরণে মননে হেলাল হাফিজ’ সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত আটপাড়ায় অনিয়মের অভিযোগ দেখিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষককে বরখাস্ত নেত্রকোণা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিনামূল্যে বাস সার্ভিস চালু মদন চাঁনগাও ইউনিয়নে কৃষক দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কেন্দুয়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস লক্ষীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পরুষ্কার বিতরনী ২০২৫ অনুষ্ঠিত আটপাড়ায় সরকারি জায়গা দখল, অভিযোগ এলাকাবাসীর। নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এর উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প

নেত্রকোণায় ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি আতঙ্কে হাওরের কৃষকরা

ডেক্স রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২
  • ২৬০ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকেণার খালিয়াজুরিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় উপজেলার কীর্তনখোলা বাঁধ ভেঙে ফসল ক্ষতির আশংকায় রয়েছে কৃষকরা।

প্রশাসন ও স্থানীয় কৃষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বাঁধ রক্ষায়। গতকাল থেকে দিন রাত বাঁধ মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

খালিয়াজুড়ির ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বেশ কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে খালিয়াজুরীর কীর্তনখোলা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা মিলে বাঁধ মেরামত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধ মেরামতের কাজ পরিচালনা করেছেন।

এদিকে ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ধনু নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় রয়েছে। কৃষকরা প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন সময় পেলে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার ধনু নদীর তীরবর্তী লক্ষিপুর গ্রামের চুনাই হাওর। হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে আধাপাকা বোরো ফসল। তরিগড়ি করে কৃষকরা যতটুকু পারছেন কেটে ঘরে তুলছেন গো খাদ্যের জন্য।

শুধু চুনাই হাওরই নয়। গত ৩০ মার্চ থেকে অদ্যাবধি খালিয়াজুড়ির কীর্তণখলা, বাদিয়াচর, মনিজান, হেম নগর, টাকটারের হাওর সহ বেশ কয়েকটি হাওরের ৫শ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে।

এসব হাওর ফসল রক্ষা বাঁধের বাইরে থাকায় ফসলহানীর সম্মুখিন হয়েছে কৃষক। এমনটাই বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নিম্নাঞ্চল হওয়ায় কৃষকরা এখন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মুল হাওরের ফসল ঘরে তোলা নিয়ে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

নেত্রকোণায় ১৩৪টি ছোট বড় হাওর রক্ষা করতে এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৮২ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামত করেছে।

জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমির বোরো আবাদ হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin