নেত্রকেণার খালিয়াজুরিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় উপজেলার কীর্তনখোলা বাঁধ ভেঙে ফসল ক্ষতির আশংকায় রয়েছে কৃষকরা।
প্রশাসন ও স্থানীয় কৃষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বাঁধ রক্ষায়। গতকাল থেকে দিন রাত বাঁধ মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
খালিয়াজুড়ির ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বেশ কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতোমধ্যে খালিয়াজুরীর কীর্তনখোলা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা মিলে বাঁধ মেরামত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধ মেরামতের কাজ পরিচালনা করেছেন।
এদিকে ইতোমধ্যে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বর্তমানে ধনু নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় রয়েছে। কৃষকরা প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন সময় পেলে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার ধনু নদীর তীরবর্তী লক্ষিপুর গ্রামের চুনাই হাওর। হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে আধাপাকা বোরো ফসল। তরিগড়ি করে কৃষকরা যতটুকু পারছেন কেটে ঘরে তুলছেন গো খাদ্যের জন্য।
শুধু চুনাই হাওরই নয়। গত ৩০ মার্চ থেকে অদ্যাবধি খালিয়াজুড়ির কীর্তণখলা, বাদিয়াচর, মনিজান, হেম নগর, টাকটারের হাওর সহ বেশ কয়েকটি হাওরের ৫শ একর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
এসব হাওর ফসল রক্ষা বাঁধের বাইরে থাকায় ফসলহানীর সম্মুখিন হয়েছে কৃষক। এমনটাই বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নিম্নাঞ্চল হওয়ায় কৃষকরা এখন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মুল হাওরের ফসল ঘরে তোলা নিয়ে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
নেত্রকোণায় ১৩৪টি ছোট বড় হাওর রক্ষা করতে এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৮২ কিলোমিটার হাওর রক্ষা বাঁধ মেরামত করেছে।
জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমির বোরো আবাদ হয়েছে।