শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

নেত্রকোণা পৌর শহরের বালুয়াখালীতে জোরপূর্বক ভূমি দখল ও চারাগাছ নিধন, থানায় অভিযোগ দায়ের

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনা পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ডে বালুয়াখালী গ্রামে বালুয়াখালী মৌজায় আর ও আর খতিয়ান নং – ০২ , বি আর এস খতিয়ান নং ৪৬ ,এসএ দাগ নং ১০৪ /১০৫ , বিআরএস দাগ নং ১৪১/১৪২ এর মধ্যে থাকা বাদী মো: শফিকুল আলমের পৈত্রিক সূত্রে ১০.০৫ শতাংশ ভূমি জোর পূর্বক বেদখল ও চারাগাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে । সরেজমিনে এই সত্যতা পাওয়া যায়, থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায় বালুয়াখালী গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান তালুকদারের পুত্র ভূক্তভোগী মো: শফিকুল আলম নেত্রকোনা মডেল থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারী মো: শফিকুল আলম বলেন, আসামীরা ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ।

আমি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ১৫ ডিসেম্বর ‘২২ বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ৮ টায় দিকে বালুয়াখালী গ্রামের মৃত আবদুল হেলিম তালুকদারের পুত্র মো: জামাল উদ্দিন সাইদ ( ৫৮) ও তার ছেলে মো: রাজিবউজ্জামান রাজিব ( ৩৬) ১৪ টা মেহগনির চারাগাছ কেটে ফেলে নিয়ে যায়, জায়গার বেড়া ছিঁড়ে নিয়ে যায়, অনধিকার চর্চা করে জায়গা বেদখলের ঘটনা ঘটায় এবং বিবাদীরা আরো লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে বাড়ীতে থাকা লোকজনদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় । তিনি আরো জানান এর আগেও আমার মা ছালেহা খাতুন এর নামে সাফ কাওলা দলিলে ১১শতাংশ ভূমি বিবাদীগন দখলের পাঁয়তারা করছে। যার আর ও আর ৯৪ দাগ নং ৬৯ বি আর এস খতিয়ান নং ৩৯ এর দাগ নং ৭৬ এর ১১ ভূমি । বিবাদীগণের হুমকিতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি । কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাঝে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল । এলাকার কাউন্সিলর , মুরব্বি ও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে সামাজিকভাবে তাদের সঠিক হিস্যানুযায়ী জমি নির্ধারন করে মিটমিমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন সাইদ বলেন , জমিসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি এওয়াজ বদল করে মীমাংসা করে নিব । চারাগাছ নিধন কেন করেছেন জানতে চাইলে উত্তর দেননি ।

অভিযুক্ত রাজিব জানান আমরা জমি কিনেছি তাই জমিতে যা ইচ্ছে করব। তাদের কে অন্য দাগে জমি দিব।এলাকার মুরব্বিগণ ও অভিযোগকারী শফিকুল আলম তার পৈত্রিক সম্পতি ভোগদখল এবং এই ঘটনার ন্যায় বিচার চায় । এই বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই আল মামুন অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানান এবং সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা পারিবারিকভাবে আলোচনা করে ফয়সালা হওয়ার কথা। তবে গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin