নেত্রকোনার আরিফ খান জয় ফুটবল একাডেমি বনাম সিলেটের ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির প্রীতি ফুটবল ম্যাচে কোন দল বিজয়ী না হলেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে ফুটবল খেলা।
ফুটবলের হারানো গৌবর ফিরিয়ে আনা এবং যুব সমাজকে ফুটবল খেলায় অনুপ্রাণিত করতে নেত্রকোনা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন আজ শুক্রবার বিকালে নেত্রকোনা আধুনিক স্টেডিয়ামে আরিফ খান জয় ফুটবল একাডেমি বনাম ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির মধ্যে এক প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করে।
এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে নেত্রকোনায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমেও প্রচারণা চালানো হয়। ফলে নেত্রকোনায় প্রীতি ফুচবল ম্যাচকে ঘিরে এক ধরণের ফুটবল উন্মাদনা দেখা শুরু হয়।
ফুটবল খেলা বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ফুটবল প্রেমী দর্শকরা স্টেডিয়াম মাঠের দিকে আসতে থাকে। মানুষের সকল স্্েরাত গিয়ে মিশে স্টেডিয়াম মাঠে। বেলা ২টার মধ্যে স্টেডিয়াম গ্যালারি দর্শকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে মাঠের ভেতর দর্শকদেও প্রবেশ করতে দেয়। এক পর্যায়ে গ্যালারির চেয়ে বেশী দর্শক মাঠে প্রবেশ করায় মাঠ অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্যারিস্টার সুমন তার টিম নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানালে গ্যালারির দর্শকরা বিপুল করতালি দিয়ে তাদেরকে স্বাগত জানায়। বেলা ৪টায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শুরু হয়। দু দল আক্রমন পাল্টা আক্রমন করে খেললেও শেষ পর্যন্ত কোন দলই গোল পোস্টের জালে বল জড়াতে পারেনি। ফলে কোন দল জয়ী না হলেও দীর্ঘদিন পর ফুটবল খেলা ও ফুটবল প্রেমী দর্শকদের জয় হয়েছে।
সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের সভাপতিত্বে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড্ভোকেট শামছুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্পিতা খানম সুমি, সাধারণ সম্পাদক টিটু দত্ত রায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফ খান বিপ্লব ও ব্যারিস্টার সৈয়ত সায়েদুল হক সুমন প্রমুখ।
ব্যারিস্টার সুমন তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, নেত্রকোনার মানুষ আমাকে এতো ভালবাসে এখানে না আসলে আমি তা উপলব্ধি করতে পারতাম না। ফুটবল শুধু দুটি টিমের মধ্যে খেলা নয়। ফুটবল নেত্রকোনা ও সিলেটের মানুষের মধ্যে এক ধরণের সেতুবন্ধন রচনা করেছে। আজকের ম্যাচটি আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আশা করি এটি ফুটবল উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।