বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন,ভারত আন্তর্জাতিক সকল আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে পানি আগ্রাসন চালাচ্ছে। যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে শুকিয়ে মারে। আর বর্ষা মৌসুমে ভারত সকল বাঁধ ছেড়ে দিয়ে এদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে ডুবিয়ে মারছে। দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, ইসলাম সহমর্মিতা ও মানবতার কল্যাণের ধর্ম। ইসলামের আদর্শই হচ্ছে একে অপরের সহযোগিতা করা, একজন আরেকজনের পাশে দাড়ানো। ইসলামের এই সু-মহান শিক্ষার চেতনার আলোকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত প্রসারিত করে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও আলেম সমাজ যে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে চলছে তা চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবে।
আজ সোমবার জেলার কলমাকান্দা, মদন ও আটপাড়া উপজেলায় বন্যা প্লাবিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সহায়তা প্রদানকালে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী আলহাজ্ব মৌলভী আবদুর রকিব, বাংলাদেশ খেলাফত যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী আবদুর রহিম রুহী, মুফতী জয়নাল আবেদিন, মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা মোস্তফা, মাওলানা নুরুদ্দিন, হাফেজ আবুল হোসাইন, হাফেজ শামিম, হাফেজ রবিন মুন্না, মুহাম্মদ সাখাওয়াত
হাফেজ ইকবাল হাসান আজাদ ও মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বেলাল প্রমূখ।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে টিন, চাউল, ডাউল, আলু, সয়াবিন তৈল, বিস্কিট, মিনারেল ওয়াটার, শিশুখাদ্য, ওরস্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি বলেন, আমাদেরকে সব ধরনের পাপাচার পরিহার করত বেশি বেশি তওবা ও ইস্তেগফার করতে হবে। আল্লাহর জমীনে আল্লাহর বিধান তথা খেলাফত কায়েমে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই সকল প্রকার বিপদ থেকে মানব জাতিকে মুক্তি দিতে পারেন। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আলহাজ্ব মৌলোভী আবদুল রকিব বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো দয়া বা অনুগ্রহ নয়। বরং আমাদের ঈমানী ও মানবিক দায়িত্ব।খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্যেরজন্য হাহাকার করতে হবে না। নিজ ঘরে থেকে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে।