কৃষিপ্রধান দেশে বৈশাখী ফসলের উপর নির্ভর করে বছরের যাপিত জীবনের চলা । এই ফসল ফলানো একটি পরিবারের দায়িত্বশীল অধিকার এবং দরিদ্র পরিবারের জন্য বেঁচে থাকার অবলম্বন। সেই কাজে বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটলে তা মেনে নেয়া যায় কি? এমনই একটি ঘটনা ঘটে নেত্রকোনা জেলা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের শ্রীপুরবালী গ্রামে। শ্রীপুর বালী গ্রামের মৃত আক্কাস মিয়ার অসহায় বিধবা স্ত্রী বাসনা আক্তার ও তার কিশোর ছেলে জিন্নাতুল কে নিয়ে পরিবারের শেষ অবলম্বন ২৫ শতাংশ ফসলি নিজ সম্পত্তিতে হালচাষ করতে গেলে একই গ্রামের একটি কুচক্রী মহল বৈশাখী ফসল চাষে বাঁধা দেয়, চাষ করতে দেয়া হয়নি বিধবা নারী কে ।
সরেজমিনে এর সত্যতা দেখা মিলে । বাসনা আক্তার শহরের কুরপাড় এলাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করে বিধায় তার এলাকা দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো, সেলিম আজাদ ও ওয়ার্ড মেম্বার চন্দন মিয়ার কাছে মোবাইলে অভিযোগ করেন এবং চাষ করতে সহযোগিতা কামনা করেন । বাসনা আক্তার ও তার কিশোর ছেলে জিন্নাতুল বলেন , আমরা অন্য জায়গায় কাজ করি তাই আগে হাল বেয়ে দিলে ভালো হতো এই কথায় ট্রাক্টর ড্রাইভার খোকন মিয়া ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয় এবং হাল টানা বন্ধ করে। একই গ্রামের মোস্তফা , মোহাম্মদ আলী , খোকন মিয়া ও মজিবুর রহমান ধান চাষে বাঁধা দেয় এবং হাল বাইতে অন্যদের নিষেধ করে এবং তাদের কে চাষ করতে দেয়নি। জানতে চাইলে খোকন মিয়া ও মোহাম্মদ আলী জানায় , নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে । জমিতে আবাদ করতে আর বাঁধা দেবো না। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন মেম্বার চন্দন মিয়া বলেন, ফসলি জমিতে চাষে বাঁধা দেয়া ঠিক না। মোবাইলে অভিযোগ পেয়েছি। ওরা নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিতে এমন হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবের সহযোগিতায় মিটমিমাংসা করে দিবো। অভিযোগকারী বাসনা আক্তার ও তার ছেলে জিন্নাতুল কে আজকালের মধ্যে ক্ষেতে ধান চাষে তাগাদা দেন তিনি এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।