দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের বিজয়ী স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতিকের প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর অনুসারী নূরুল আমিন হত্যা মামলায় আরও দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছেন- আটপাড়া উপজেলার দেওগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিন ও রোকসানা বেগম।
পার্শ^বর্তী সুনামগঞ্জ শহর থেকে শনিবার গভীর রাতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রোববার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আটপাড়া আমলি আদালতের বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে ওইদিন রাতে নেত্রকোনা-৩ (আটপাড়া- কেন্দুয়া) আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর সমর্থকরা আটপাড়া উপজেলার দেওগাঁও বাজারে বিজয় মিছিল বের করে। এ সময় পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী পিন্টুর সমর্থক দেওগাঁও গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে নূরুল আমিনসহ অন্তত ১২জন আহত হয়। গুরুতর আহত নূরুল আমিনকে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন ৮ জানুয়ারী সোমবার নূরুল আমিন মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোহাগ হাসান বাদী হয়ে মৃত্যুর দুইদিন পর বুধবার রাতে লুনেশ^র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, যুবলীগ নেতা জুনায়েদ, সাখাওয়াত হোসেন বারীসহ ১০জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন ব্যক্তিকে আসামী করে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি সাখাওয়াত হোসেনকে পুলিশ বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করে। এ খবর পেয়ে মামলার অন্য আসামিরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পাশর্^বর্তী সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে হত্যা মামলার আসামি ইসলাম উদ্দিন ও রোকসানা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার আটপাড়া থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায়। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর না করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় হত্যা মামলার ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।