আদালতে ধর্ষণের মামলা করায় আসামী পক্ষের লোকজনের নানা ধরণের ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও পিটিয়ে দেশ ছাড়া ও অব্যাহত ভাবে প্রাণনাশের হুমকিতে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীরা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৪ জুলাই নেত্রকোনা মডেল থানায় জিডি দায়ের করেছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউনিয়নের বায়রাউড়া পূর্বপাড়া গ্রামের রঞ্জিত চন্দ্র দেবনাথের স্ত্রী সঞ্চিতা রাণী দেবনাথ সন্তান সম্ভাবনা হওয়ায় তার দেখ ভাল করার জন্য কলমাকান্দা উপজেলার ইসবপুর গ্রাম থেকে সুব্রত দেবনাথের কন্যা তার ভাগিনী প্রিয়ন্তী রাণী দেবনাথকে (১৫) তিন মাস পূর্বে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে।
কিছুদিন পরেই তারই প্রতিবেশী সুধীন্দ্র-এর পুত্র নিবেদন (২১)-এর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার ভাগিনী প্রিয়ন্তীর উপর। প্রতিবেশী হওয়ায় নিবেদন নানা ঠালবাহানায় প্রায়শই আমার বাড়ী আসতো এবং সুযোগ পেলেই প্রিয়ন্তীকে প্রেম নিবেদন করতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। প্রিয়ন্তী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অঙ্গীকার করে এবং তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে সঞ্চিতা রানী তার ভাগিনীর ইজ্জত সন্মান রক্ষার জন্য সুধীন্দ্রর পরিবারের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করে।
এ নিয়ে গ্রামে সালিশ দরবার বসে। তাতেও ন্যায় বিচার না পাওয়ায় সঞ্চিতা রানী থানায় মামলা করতে গেলে আসামী পক্ষের লোকজন বাঁধা প্রদান করে। উপায়ান্তর না পেয়ে অবশেষে গত ৭ জুন নিবেদনকে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত নেত্রকোনা মডেল থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করে। আদালতে মামলা করার সংবাদ পাওয়ার পরপরই আসামী গাঁ ঢাকা দেয়।
অপরদিকে আসামী পক্ষের লোকজন বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা ধরণের ভয়-ভীতি প্রদর্শণ ও পিটিয়ে দেশ ছাড়া ও অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে বাদী ও স্বাক্ষীরা এক ধরণের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা এবং টরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। ভূক্তভোগী পরিবারটি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ৪ঠা জুলাই নেত্রকোনা মডেল থানায় জিডি দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।