এ উপলক্ষে ইভেন্টের মধ্যে ছিল- ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, উপহার সামগ্রী বিতরণ, মোনাজাত, স্মৃতিচারণ, ব্যাচের জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা, র্যাফেল ড্র, আমন্ত্রিত অতিথিদের উপহার প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভূতি।
এদিন সকাল ৯টায় সকাল থেকে কলেজ মাঠে এই ব্যাচের বন্ধুরা স্ব-পরিবারে জমায়েত হতে থাকে। এসময় তাঁদের মাঝে টি-শার্ট, মগ ও চাবির রিং বুঝিয়ে দেয়া হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু এ মিলনমেলার আয়োজন। সকাল ১১ টায় ব্যাচের বন্ধু ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহনে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা পরিচালনায় ছিলেন প্রদীপ বাগচী, জিয়াউর রহমান জিয়া, এমদাদুল হক প্রমুখ। বাদ জুম্মা মোনাজাত পরিচালনা করেন উবায়েদ উল্লাহ নূরী। র্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ হান্নান জনি। আপ্যায়নে ছিলেন শরিফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম আল আমিন, বিপুল কুমার চন্দ, মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
ব্যাচের বন্ধুদের মাঝে সংবর্ধিত হলেন যাঁরা- উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবি, পৌর কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান জিয়া, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য পান্না চৌধুরী ও ইউপি সদস্য আব্দুল কদ্দুছ।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রহুল আমিন, জেলা পরিষদ সদস্য গৌরীপুর প্রেসক্লাবের আহবায়ক এইচ এম খায়রুল বাসার, গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী, এমপি পুত্র তানজীর আহমেদ রাজীব, পৌর প্যানেল মেয়র মোঃ নাজিম উদ্দিন, দিলুয়ারা আক্তার, বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম সামদানী খান সুমন, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার, সাংবাদিক আরিফ আহম্মেদ প্রমুখ।
এ মিলনমেলার সমন্বয়ক মশিউর রহমান কাউসার জানান, দীর্ঘ তেইশ বছর গৌরীপুরে এসএসসি’৯৯ ব্যাচের এই প্রথম মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্ধু-বান্ধবী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন এবং সার্বিক সহযোগিতায় এ মিলনমেলা একটি প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়। এদিন বন্ধুরা ফিরে যায় সেই সোনালী অতীতের স্কুল জীবনে। সবাই মেতে ওঠে আড্ডা, গল্প ও খুনসুটিতে। স্মৃতিচারণে ওঠে আসে তাদের অতীতের নানা ঘটনা। এভাবে আনন্দ, আবেগ ও উচ্ছ্বাসে কেটে যায় মিললমেলার সারাদিন।