জেলার নেত্রকোনা সদর উপজেলায় ১১ নং কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের বাঁশাটি গ্রামের মাশা আল্লাহ পোল্ট্রির ৭ লক্ষ টাকার সোনালি মুরগী মরে গেছে।
মাশা আল্লাহ পোল্ট্রির স্বত্ত্বাধিকারী আ : জলিল
বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পোল্ট্রি মুরগীর ব্যবসা করছি । ধার দেনা করে তিনটি সেটে মাশা আল্লাহ পোল্ট্রি নামে বড় আকারে শুরু করেও লাভ হলো না। স্বপ্ন আর অর্থ দুইই হারালাম। এখন কি করে ধার দেনা পরিশোধ করবো বলতে পারছি না ।
আ: জলিল আরো জানান, অতি বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে দ্রুত বন্যার পানিতে এলাকা তলিয়ে যায় । এর মাঝে কংসের ভাসা পানির চাপ লেগে আছে। প্রায় ৫০০০ হাজার সোনালী মুরগী পানিতে ভেসে যায় ও মরে যায় । এতে করে আমার ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে । এই সময় জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগিতা কামনা এবং পুনরায় যাতে ব্যবসা শুরু করতে পারি সে জন্য প্রণোদনা পেতে আবেদন জানাচ্ছি ।
এ দিকে একই গ্রামের আ,জব্বারের জব্বার মৎস্য ও ছাগল খামারে বেশ ক্ষতি হয়েছে। ৩ টি পুকুরের ৫ লক্ষ টাকার শিং, পাঙ্গাশ ও দেশী মাছ বন্যায় ভেসে গেছে এবং ৪০টি দেশী কালো জাতের ছাগলের খামারে ৫ টি ছাগল মারা গেছে। বাকি ছাগলগুলোও অসুস্থ হয়ে পরছে । খামারি আ,জব্বার জানান, বন্যার পানি নামতে দেরী হওয়াতে এই ক্ষতির মুখে পড়েন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন।
এলাকার লোকজন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের আনুরোধ জানায়। ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহবুব রহমান তালুকদার জানান, দূর্গাপুরের পাহাড়ি ঢলের পানি কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়ন হয়ে নেত্রকোনা সদরে আসে । আমার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে । পানিবন্দী মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে । আঃ জলিলের পোল্ট্রি ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে । জব্বার মৎস্য ও ছাগল খামারেরও ৬ লক্ষ ক্ষতি হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ও বিত্তবানদের সহযোগিতা করতে আহবান জানাই ।