আজ বিশ্ব যুবদিবস। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য হল ‘খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর: মানুষের জন্য যুব উদ্ভাবন’। এই দিবসে আমি দেশের সম্পদ যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট সর্ব মহলের প্রতি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। কেননা যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন আছে। তাদের শিক্ষা থেকে স্বনির্ভর হওয়ার পথে তাদের সাহায্য করা সরকারসহ সকলের কর্তব্য। বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ ও যুবক।
তারাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর। একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে তামাক একটি বড় বাধা। তরুণ সমাজকে তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে আরো শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী করা কর্তব্য। তরুণদের সুরক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবী। আজকের বাংলাদেশের দিকে তাকান, দেখুন যুবকদের অবদান কত।
১৯৪৭ এর পূর্ব থেকে ৫২, এর পর ৬৯ সবশেষে ৭১ এর চুড়ান্ত মুহুর্তে এই যুবকরাই ছিল অগ্রসেনা। আমাদের আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকেই এই যুবকদের, বিশেষ করে বেকার যুবক ছেলে মেয়েদের শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
আমরা যুব প্রশিক্ষণ, কৃষি ও মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণসহ তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সমাজ ও রাষ্ট্রের উচিৎ একটা দেশ তথা একটা জাতিকে যদি উন্নয়নের চূড়ায় আরোহন করতে হয় তবে সেদেশের কিংবা সেজাতির যুব সমাজকে আগে কাজে লাগাতে হবে। তবে বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।