নেত্রকোনার মদনে বিস্ফোরণ ও লুটপাটের অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা ছদ্দু মিয়া (৬০)কে প্রধান আসামি করে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার মদন থানায় এ মামলা দায়ের করেন মোঃ শামসুল হক বাদী হয়ে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মদন থানা (ওসি মোঃ মাহমুদুল হক।
এদিকে সম্প্রতি সাফায়েত উল্লাহ রয়েল কাইটাইল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম(৫৭), তারেক (২৬),উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (৪৮),
সাবেক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিলার বুলবুল ( ৫৮), নায়েকপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাদিছ উদ্দিন(৫৮)সহ অনেকে আসামী হয়েছেন।
মামলার বাদী তার আরজিতে অভিযোগ করেছেন, গত ২৩ এপ্রিল ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র রামদা বল্লম ও ককটেল নিয়ে আসে। আসামি সাফায়েতুল্লাহ রয়েল হুকুম দেয় শামসুল হক বিএনপি করে এর দোকানপাট লুটপাট কর
এ হুকুম পাওয়ার পর আসামি সাগর মিয়া শামসুল হকের দোকানের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ করে সঙ্গে সঙ্গে আসামি মোতাহার তার হাতে থাকা ককটেলটি শামসুল হকের ফলের দোকানের ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটায় এতে করে আমি সহ আশ পাশের দোকানদারা আতঙ্কিত হইয়া পড়ে।
আসামি মজিদুল আলম আমার ক্যাশবক্স থেকে তিন লক্ষ দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আসামি আনোয়ার হোসেন এলোপাথাড়ি লোহার রড দিয়ে মারধর করে আমাকে আমি আমার প্রাণ রক্ষার্থে পাশের দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেই।
এর পরে সমস্ত আসামিগণ আমার দোকানপাট ভাঙচুর ও সব ফল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এতে আমার ৬ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে। আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী আসামি গণ রাস্তায় যানবাহন ভাঙচুর টায়ার অগ্নিসংযোগের বড় ধরনের নাশকতা ঘটায় ১৯৭৪ সালের আইনের ১৫(৩) ধারার অপরাধে বিস্ফোরক আইনের ৩/৬ অপরাধ করে। বর্তমান দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়ায় থানায় এ মামলা দায়ের করতে সক্ষম হয়েছি।
উক্ত মামলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ফরিদ মিয়া এবং উপজেলা যুবলীগ নেতা হাসান দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মাহমুদুল হক বলেন, বিস্ফোরক অগ্নিসংযোগ লুটপাটের দায়ে মামলা হয়েছে দুইজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে মামলা তদন্তাধীন বাকি আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।