সভায় বক্তারা বলেন, ভারত থেকে চোরাই চিনির সঙ্গে মাদকও নিয়ে আসা হয়। এ উপজেলায় চর দখলের মতো অবৈধ চিনি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন স্থানে গ্রুপ গড়ে উঠেছে। যে কোন সময় এসব গ্রুপের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও খুন-খারাবি হতে পারে। প্রশাসনকে এসব চোরাচালানকৃত চিনি প্রতিরোধ করতে বক্তারা অনুরোধ জানান।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহাম্মেদ বলেন, অবৈধ চিনির চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায় বলেন, অবৈধ চিনি ও মাদক প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, কলমাকান্দা-নেত্রকোনা-শাহগঞ্জ-অচিন্তপুর-গৌরীপুর-,শ্যামগঞ্জ সড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই ১৫-২০ ট্রাক অবৈধ চিনি প্রবেশ করেছে। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং অবৈধ চিনিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে দেশের স্থানীয় বাজার। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় চিনি কোম্পানী ও উৎপাদনকারীরাও। একাধিক সূত্র জানায়, চিনির ট্রাক পাচারকালে সঙ্গবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা উপজেলার একাধিক স্থানে ‘টুকেনমানি’ দিয়ে এসব ট্রাক নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন।
এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহাম্মেদ। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, সালমা আক্তার রুবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নূরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আল ফারুক, আব্দুল্লাহ আল আমীন জনি, মো. জায়েদুল ইসলাম, গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন জুয়েল প্রমুখ।