শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :

ভোলাহাটের বেকার শিক্ষার্থীরা ঝুঁক‌ছে অনলাইন আম ব্যবসায়

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১
  • ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

করোনার থাবায় সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। তখন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে বসে অলস সময় পার করছেন। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। এ সময় জড়িয়ে যেতে পারেন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। ঠিক এমন সময় আমের রাজধানী ভোলাহাটে মধূ মাসের দেখা মি‌লে‌ছে। অলস বসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকে পড়েছেন অনলাইন আম ব্যবসায়।

ভোলাহাট উপজেলার আমের সুনাম ধরে রাখতে মানসম্মত আম দেশের বিভিন্ন জায়গায় কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করছেন। এতে বিভিন্ন জায়গার ভোক্তারা পিয়র সু‌স্বাদু আম চাহিদা মত পেয়ে যাচ্ছেন বাড়ীতে বসেই। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভোলাহাট উপজেলার পিয়র সুস্বাদু আম খেতে চান। কিন্তু বাজারে গিয়ে অন্য অঞ্চলের আমকে ভোলাহাটের আম বলে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে প্রতারনা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মানুষের কাছে আমের পরিচিতি থাকলেও বিভিন্ন জায়গার মানুষ আমের জাত চিনেন না। ফলে আশ্বিনা আমকে ফজলি আম বলে বিক্রি করেন। আবার গুটি আমকে খিরসাপাত বা গোপালভোগ বলে বেশি দামে বিক্রি করে ভোক্তাদের প্রতারিত করেন।
অনলাইন ব্যবসায় যে আম ক্রেতা চাইবেন সে আমটিই শিক্ষার্থীরা অনলাইন আম ব্যবসায়ীরা অ‌তিযত্নসহকারে সরবরাহ করে থাকেন। এতে বেকার শিক্ষার্থীরা কাজের মধ্যে থেকে যেমন আর্থীক ভাবে লাভবান হচ্ছেন, তেমনি বেকার ,অপরাধমুক্ত থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র আমের বাজার আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটে গিয়ে চোখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অনার্স পড়ুয়া বেশ ক’দিন শিক্ষার্থী আম সরবরাহ করতে প্যাকেট করে ওজন করছেন। কেউ আবার প্যাকেটের উপর ঠিকানা লিখতে ব্যস্ত। তাদের ব্যস্ততা শেষ হলে কথা হয় তাদের সাথে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ হাসিবুর রহমান জানান, করোনায় দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। বেকার হয়ে বাবা- মায়ের বোঝা হয়ে বাড়ীতে বসে আ‌ছি। তাই ভাবলাম অনলাইনে ব্যবসাটা শুরু করি। যেহেতু ব্যাবস্থাপনা নিয়ে পড়া-লেখা করছি সেহেতু ব্যবসার অভিজ্ঞতা হোক। একদিন উদ্যাক্তা হওয়ার ইচ্ছে থেকেই পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়েই লেগে পড়েছি। তাছাড়া বেকার বসে বসে বাবার অর্থ নষ্ট না করে যা আয় হয়। তিনি বলেন, গত ২৫ মে থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ মণ আম দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতে পেরেছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2021 khobornetrokona
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin