নেত্রকোনার মদন উপজেলার কুলিয়াটি পশ্চিম পাড়া গ্রামে গিরধনী খালের মুখ বন্ধ করে বোরো ধানের জমিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি। পানি যাতায়াতের ব্যবস্থা বন্ধ কৃষকের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এলাকার কৃষকের বোরো ফসলের ৩০ একর ধানের জমির খালের মুখটি বন্ধ করে, জলবদ্ধতা সৃষ্টি করায়, মহব্বত মিয়া, নিয়াম উদ্দিন ও আঃ সবুর মিয়ার বিরুদ্ধে, ৪০ জন কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, মদন ইউনিয়নের কুলাটি পশ্চিমপাড়া হাওরের পানি যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল গিরধনী নামের খাল দিয়ে। উক্ত খালের মুখটি পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করে দিয়েছে, মহব্বত , নিয়াম উদ্দিন ও আব্দুস সবুর মিয়া।
কুলিয়াটি পশ্চিমপাড়া হাওরের পানি গিরধনী খাল দিয়ে নদীতে যেত। খালের মুখটি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে,হাওরের পানি নিরসন ও যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে । এতে করে কৃষকের ৩০ একর বোরো ধানের জমি পঁচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকার কৃষকরা।
কৃষক আক্কাস মিয়া বলেন, বছরে একটি মাত্র ফসল বোরো ধান হয়, তা দিয়ে সংসার চলে ও বাড়তি টাকা দিয়ে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা ব্যবস্থা হয়। কেবল ধানের থোর হয়েছে, এভাবে যদি পানি জমে থাকে হাওরে তাহলে আমাদের ধানের জমি নষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের আর কিছু করার থাকবে না, এনিয়ে আমরা কৃষকরা খুব দুশ্চিন্তার মাঝে আছি। মহব্বত মিয়া, নিয়াম উদ্দিন, আঃ সবুর তারা খালের মুখ বন্ধ করে পরিকল্পিতভাবে ধানের জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আঃ সবুর মিয়া বলেন, আমি আমার জায়গায় বাঁধ দিয়েছি। কারো ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার জন্য আমি বাঁধ দেইনি, এবং জলবদ্ধতা সৃষ্টি করিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কৃষকের জমি জলবদ্ধতা সৃষ্টি করে নষ্ট করা যাবে না। কেউ যদি এই কাজ করে থাকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, খালের মুখ বন্ধ করে কৃষকের ধানের জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।