নেত্রকোনার মদনে গানের আসরে চেয়ারে বসা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২০২৩ সালের রোজ বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর জুয়েল নামের এক কৃষক নিহত হয়েছিল।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত অন্তত হয়েছিল।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক জুয়েল খুনের ঘটনায় সুলতু মিয়ার ছেলে নিহতের ভাই জুবায়ের আহমেদ (২৭) বাদী হয়ে গত শনিবার ২৩ ডিসেম্বর ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৬/ ৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মদন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
উক্ত মামলার বিবরণীতে লেখা আছে নিহত কৃষক জুয়েলকে ১ নং আসামি নুরুল ইসলাম নুরু ২ নং আসামী গোলাপ মিয়া, ৩ নং আসামি তমজীদ, ৪ নং আসামী মানিক, ৭ নং আসামী রোমান, ও ২৯ নং আসামী সিদ্দিক মিয়া, কৃষক জুয়েলকে খুন করার উদ্দেশ্য পথরোধ করে।
পরে ২ নং আসামি গোলাপ এবং ৭ নং আসামী রোমান কৃষক জুয়েলকে খুন করার উদ্দেশ্য দুজনে মিলে দুই হাত ধরে রাখে ১ নং আসামি নুরুল ইসলাম নুরু লোহার তৈরি বল্লম দিয়ে তলপেটে ঘা মারে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে এলাকাবাসী জানান।
গানের আসরে দ্বন্দ্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২০ ডিসেম্বর চন্দন মিয়ার ছেলে মাহফুজ তার সাথে কয়েকজন বন্ধু,বান্ধব নিয়ে কাইটাইল বাজারের আখাশ্রী মোরে বিকেল বেলা জালেক মিয়ার ছেলে রোমানকে মারধর করে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কাইটাইল গ্রামের নজরুল মিয়ার বাড়িতে গানের আসর বসে।
ওই গানের আসরে চেয়ারে বসা নিয়ে বাঁশরী বাপলা গ্রামের জালেক মিয়ার ছেলে রোমানের সঙ্গে একই গ্রামের চন্দন মিয়ার ছেলে মাহফুজের তর্ক বিতর্ক হয়।
পরদিন ২০ ডিসেম্বর কাইটাইল বাজারে আবারো গানের আসরের ঘটনার জের ধরে চন্দন মিয়ার ছেলে মাহফুজ কাইটাইল বাজারে আখাশ্রী মোরে জালেক মিয়ার ছেলে রোমানকে মারধর করে পরে
বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বৃহস্পতিবার সালিশ বৈঠকে বসে কাইটাইল বাজারের রাসেল মিয়ার চা,য়ের দোকানে।
দরবার সালিশ চলাকালীন সময়ে বাঁশরী বাফলা গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত কৃষক জুয়েল গুরুতর আহত হয়, পরে স্বজনেরা মদন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন ।
পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই রাস্তায় কৃষক জুয়েল নিহত হয়।
এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত প্রতিপক্ষ সজিব, জানু, রাহিম ও ফজলুল হক নামের ৪জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ রেফাট করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ অবস্থা থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে ময়মনসিংহ নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য পরে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক জুয়েল নিহত হয়েছে, তবে
এলাকাবাসীর প্রশ্ন? নুরুল ইসলাম নূরুকে
মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, দুইজনে হাত ধরে রেখেছে নুরুল ইসলাম তাকে লোহার বল্লম দিয়ে ঘা দিয়ে খুন করেছে ,এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট মিথ্যা মামলা বলেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নায়েকপুর ইউনিয়নের ১,২ ,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য লাকি আক্তার বলেন, নুরুল ইসলাম নুরু একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, সে উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক, মদন উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সভাপতি, উপজেলা কাইটাইল বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি, সে একজন পল্লী চিকিৎসক, গানের আসরের ঝগড়া মীমাংসা করার জন্য সালিশে বসা অবস্থা ছিল রাসেলের চা’য়ের দোকানে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার শামীম, মামলার ১ নং আসামি নুরুল ইসলাম নুরু সহ
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দরবারে বসা অবস্থায়
ছিলেন।
নুরুল ইসলাম নুরু পরে সংঘর্ষের খবর শুনে তারা তিনজন নিজেদের জীবন বাজি রেখে অনেক চেষ্টা করে দু’পক্ষের সংঘাত থামানোর জন্য।
তবে কেন মামলার বিবরণে মিথ্যা নাটক সাজানো হলো ২ নং আসামি গোলাপ এবং ৭ নং আসামী রোমান নিহত দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত কৃষক জুয়েলের দুই হাত ধরে রাখে এবং নুরুল ইসলাম নুরু লোহার তৈরি বল্লম দিয়ে ঘা দিয়ে তাকে খুন করার উদ্দেশ্য আঘাত করে,
এ কতা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট নাটক, পূর্ব পরিকল্পিত উদ্দেশ্য প্রণীত ভাবে একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক নুরুল ইসলাম নুরুর বিরুদ্ধে।
নুরুল ইসলাম নুরুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।