তারা আরও বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ছিল, দুই বছর ধরে ব্রিজের দুই পাশে মাটি না থাকায়, বর্ষার শুরুতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর দুই বছর ধরে স্থানীয়রা এ ব্রিজের দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারের জন্য । কষ্ট করে যাতায়াত করলেও, বৃদ্ধ অসুস্থ, শিশুদের নিয়ে চলাচলে খুব কষ্ট পোহাতে হয়।
তারা আরো বলেন, দুই বছর ধরে এ ব্রিজে সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় এ সড়ক দিয়ে সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধান, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারি বোঝা মাথায় করে পার করতে হয়। এতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। স্থানীয় লোকজন অবিলম্বে ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি জানান কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ এষয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনসুর মিয়া বলেন , কতবার জানিয়েছি পরিষদে, কোন উপায় না পেয়ে আমার নিজের টাকা দিয়ে বাঁশ ক্রয় করে সাঁকো করে দিয়েছে জনগণের রাস্তা পারাপারের জন্য। ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির চাপে তা ভেঙে গেছে। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিয়শ্রী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্যার পানি সরে গেলে আবারও মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে। এছাড়া ব্রিজটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে গেছে। পানি সরে গেলে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার চেষ্টা করব।
মদন উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবির বলেন, কোথায় এ ধরনের ব্রিজ আছে , এ বিষয়ে আমার জানা নেই।