নেত্রকোনার মদনে বাজার কমিটির সাথে গোবিন্দশ্রীর বৈশাখী খালে জাল দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। শনিবার উপজেলার গোবিন্দশ্রী বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। আহত মাইমুন আক্তার,ছকিনা আক্তারকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহত রুবেল,মনিরুজ্জামান জপু,হৃদয়,জবেদা আক্তার,সাগর মিয়া,মাসুদ ইয়ার খান,আব্দুল জব্বার,পাবেল,কুতুবুল, খায়রুল পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ সময় বাজার কমিটির লোকজন উত্তেজিত হয়ে হৃদয় মিয়ার চায়ের দোকানের এলইডি টিভি, দোকান ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গোবিন্দশ্রী বাজার কমিটির সাথে একই গ্রামের রুবেল মিয়ার পরিবারের লোকজনের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বাজার কমিটির সভাপতি ও তার লোকজন বৈশাখী খালে জাল দিয়ে মাছ ধরতে রুবেল মিয়াকে নিষেধ করে। রুবেল ও বাজার কমিটির সভাপতি ছোট্র ও তার লোকজনের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এরই জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনা স্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
রুবেল মিয়া মিয়া জানান,আমার জমিতে আমি জাল দিয়ে মাছ ধরছি এতে তাদের কি ? এটাকোন সরকারি খাল না। বাজার কমিটির লোকজন আমার জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের বাজারে যেতে নিষেধ করছে।
বাজার কমিটির সভাপতি ছোট্রন মিয়া জানান,রুবেল মিয়ার সরকারি খালে জাল পেলে মাছ ধরছিল। খালে জাল পেলার কারনে নৌকা দিয়ে বাজারে মালামাল আনা নেয়া করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই খাল থেকে জাল সড়ানোর জন্য বলা হলে সে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। দোকান ঘর ভাংচুর লুটপাট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ কাজ তারা নিজেরাই করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম ছদ্দু মিয়া জানান,রুবেলকে জাল সড়ানোর জন্য বলা হলে সে সড়ায় নিয়ে ফলে বাজার কমিটির সাথে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আলম এর সাথে যোগাযেগ করলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।