নেত্রকোনার মদনে পল্লী বিদ্যুতের (১১ হাজার ভোল্টেজ) বিদ্যুৎ সঞ্চালনা লাইন চালু থাকা অবস্থায় সাইফুল ইসলামের বাড়িতে রং মিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে হিমেল (৩০)নামে এক জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এবং তৌহিদ (৩৫) নামে ১ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজন শ্রমিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক (হিমেল) নামের শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন । এবং শ্রমিক তৌহিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহত( হিমেল) উপজেলার মদন ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের মৃত খোকন মিয়ার ছেলে এবং গুরুতর আহত তৌহিদ মিয়া, একই ইউনিয়নের পরশখিলা কুমারী কোনা গ্রামের মৃত আক্কেব আলির ছেলে।
(২৫ ফেব্রুয়ারি) রোজ শনিবার দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে উপজেলার ২ নং চানঁগাও ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামে সাইফুল মিয়ার (৪০) বাড়ির ছাদের উপরে রঙের কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, শনিবার চানগাঁও ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় তলা নতুন ভবনে চারজন রং মিস্ত্রি রংয়ের এর কাজ করছিল।
বাড়ির ছাদের ১৫ ফিট উপরে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের( ১১ হাজার হাইভোল্টেজ) কেভি বিদ্যুৎ মেইন লাইন।
বাড়ির ছাদের উপরে রঙের কাজ করার সময় পল্লী বিদ্যুতের (১১ হাজার হাইভোল্টেজ) মেইন লাইনের সাথে লোহার মইয়ের সংঘর্ষে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনাটি ঘটে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ছাদের উপরে পল্লী বিদ্যুতের( ১১ হাজার হাইভোল্টেজ) কেভি মেইন লাইন বিদ্যুৎ চালু থাকা অবস্থায় রংয়ের শ্রমিক দিয়ে ঘরের কাজ করছিল। এবং ছাদের উপরে ১১ হাজার কেভি তারে প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে মোড়ানো রয়েছে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে, বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলামের (স্ত্রী) তাসলিমা আক্তার (৩০) জানায়, ছাদের উপরে রঙের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎসৃষ্টের ঘটনাটি ঘটেছে।
বাড়ির ছাদের ১৫ ফিট ফিট উপরে, প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে মোড়ানো পল্লী বিদ্যুতের (১১ হাজার হাইভোল্টেজ কেবি )তারের নিরাপত্তার বিষয়ে মদন উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ ডিজিএম ফিরোজ হোসেন জানান, বাড়ির মালিক সাইফুল ইসলাম বিদ্যুৎ অফিসকে অবগত না করে (১১ হাজার কেভি) তারের নিচে বাড়ির ছাদ করেছে। যাহা নিয়ম বহির্ভূত।
এবং বিদ্যুৎ অফিসকে অবগত না করে, বিদ্যুৎ চলমান থাকা লাইনের নিচে রং মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করেছে। এবং বিদ্যুৎ অফিসকে অবগত না করে, প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে( ১১ হাজার ভোল্টেজ কেভি) তারে নিজেরাই নিরাপত্তার কাজটি করেছে। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ও পল্লী বিদ্যুৎ অবগত না।
এ বিষয়ে মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ তাওহীদুর রহমান তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, শ্রমিক (হিমেলের) লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।