মদন ইউনিয়নের ভূমি অফিসে নায়েব তহশিলদার মান্নু রায়হান রোমানের বিরুদ্ধে কাপাশাটিয়া মাদ্রাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা এনে আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
মদন ইউনিয়নের কাপাশাটিয়া গ্রামের হাওড়ে মাদ্রাসার নামে একটি নালা খাল রয়েছে মাদ্রাসার কমিটির কাছে এই খাল বাবদ ৮০ হাজার টাকা নেন তহশিলদার মান্নু রায়হান রোমান।
এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে নায়েব তশীলদার মান্নু রায়হান রোমান মাদ্রাসার কমিটিকে বলেন, আপনারা এই খালের মাছ ধরতে পারবেন না মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ।
পরে সাবেক চেয়ারম্যান ভিকচান মিয়া আমাদেরকে একটি উপায় খুঁজে দেন পরে তিনি মাদ্রাসা কমিটি কে নিয়ে এসে মদন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে এসে মান্নু রায়হানকে ৮০ হাজার টাকা গুনে দেন।
নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন তিনি বলেন, ভূমি অফিসে নায়েব রোমান একের পর এক ভূমি অফিসে গেলে গ্রাহকদের সাথে অনিয়ম-দুর্নীতি করেই চলেছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার কমিটি ক্যাশিয়ার জাফর ইকবাল বলেন, আমরা নিরুপায় হয়ে মদন ইউনিয়নের নায়েবকে ৮০ হাজার টাকা দেই পরে জানতে পারি এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। পরে তার কাছে এই টাকা ফেরত চাইলে সে বলেন টাকাগুলা ফেরত দিলে তো এটা মান-সম্মান যায় স্যারের সাথে কথা হয়েছে আপনাদের মাদ্রাসায় একটা প্রকল্প বাজেট দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভিকচান মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাদ্রাসা কমিটি আমাকে সাথে নিয়ে যান, পরে আমার হাতে ৮০ হাজার টাকা গুনে বুঝিয়ে দিয়েছি মদন ইউনিয়নের নায়েব কে। এখন শুনেছি টাকাগুলা সরকারি কোষাগার জমা হয় নাই তখন টাকা আমরা ফেরত চেয়েছি তার কাছে সে বলেছে টাকা ফেরত দিয়ে দিবে।
এ বিষয়ে ভূমি অফিসের তশিলদার নায়েব মান্নু রায়হান রোমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন টাকা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, ভাই আপনি কোথায় আছেন আসেন সাক্ষাতে কথা বলি।
এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন নায়েব যদি অন্যায় ভাবে টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।