নেত্রকোনার মদন উপজেলা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে, তিয়শ্রী ইউনিয়নে রাতের আঁধারে জলমহল শুকিয়ে মাছ নিধন কার্যক্রম চলছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত তিয়শ্রি বাজারের পাশে ডালু নদীর জলমহলটি রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ৩ টি শ্যালু মেশিন বসিয়ে নদীর তলা শুকিয়ে, মাছ ধরে নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
উক্ত জলমহলটি সাব ইজারাদার নেওয়া তিয়শ্রী গ্রামের আলিম, শহীদুল্লাহ, শাহীন,বাইরে উড়া গ্রামের ফজিনুর ও নূর মিয়া,তারা শ্যালু মেশিন বসিয়ে ডালু নদীটি শুকিয়ে মাছ ধরছেন।
চলমান অবস্থায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবছর একই ব্যাক্তি এই জলমহলটি ইজারা নিচ্ছেন। নিজ ব্যক্তি মালিকানার মত করে নদীর তলা পুকুরের মতোন পাড় বেঁধে নদীর ত্রি-মোহনার সৌন্দর্য বিনষ্ট করেছেন ইজারাদার।
রাতের আঁধারে অবৈধভাবে তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালু নদীতে শ্যালু মেশিন বসিয়ে নদীর তলা শুকিয়ে মাছ নিধন করছেন। এ বিষয়ে তিয়শ্রী এন এইচ খান একাডেমীর প্রধান শিক্ষকের নামে ইজারা নেওয়া, (প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ায়) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, তিয়শ্রী ডালু নদীর জলমহলটি মেশিন বসিয়ে না, শুকানোর জন্য উপজেলা ইউএনও মহোদয় স্যার এসে নিষেধ করে গেছেন। এবং মদনের ভূমি সহকারী (কমিশনার) শাহনুর স্যারও নিষেধ করে গেছেন।
রাতের আঁধারে কার অনুমতি নিয়ে, আলীমসহ তারা ডালু নদীর জলমহলটি শ্যালু মেশিন বসিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরলো এ বিষয়ে আমি এখনো অবগত না।
তিয়শ্রী গ্রামের আলিম বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে কয়েক জন মিলে এক সিজনের জন্য, এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে চলতি বছরের ৩০শে চৈত্র মাস পর্যন্ত সাব ইজারা নিয়েছি। ডালু নদীর জলমহলটি শুকিয়ে মাছ ধরব এই শর্তেই আমরা সাব ইজারা নিয়েছি।
ডালু নদীর জলমহলটি শ্যালু মেশিন বসিয়ে শুকানোর বিষয়ে অবগত করলে, তিয়শ্রী ইউনিয়নের ভূমি অফিসের তহশিলদার (নায়েব) খুর্রম যা মুরাদ, তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন তিনি বলেন, উক্ত জলমহলটির ইজারাদার কে নিষেধ করা হয়েছে। নিষেধ করার পরও যেহেতু মেশিন বসিয়ে ডালু নদীটি শুকিয়ে মাছ নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।